ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়েছে। তার এই গ্রেফতার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে তারা। সেই সঙ্গে ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
জেনেভাভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন সোমবার এমন মতামত প্রকাশ করার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, পাকিস্তান সরকারকে মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান জানাতে বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)।
জিও নিউজ জানিয়েছে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা সে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু কিংবা রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম যেই হোন না কেন, পাকিস্তানকে তার সংবিধান ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের জনগণের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে তদন্তের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হওয়া প্রস্তাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তবে কংগ্রেসে মুলতবি থাকা আইন নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও তিনি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ওপর জোর দেন।
এর আগে সোমবার জেনেভাভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অরবিট্রারি ডিটেনশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো বৈধ অভিযোগ ছিল না এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থেকে তাকে বিরত রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সংস্থাটি বলেছে, ইমরান খানের মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণের অধিকার দেওয়া উচিত।

Discussion about this post