ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসাকর্মী ছিলেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) গভীর রাতে এই হামলা হয়। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টায়ার জেলার দার্দঘাইয়া শহরে সিভিল ডিফেন্স কেন্দ্রের ওপর ইসরায়েলি হামলায় তাদের পাঁচজন কর্মী নিহত হন। তারা সবাই দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
একই সময়ে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই জেলার ওয়ারদানিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের আঘাত কতটা গুরুতর, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আরও কিছু ভুক্তভোগীর দেহাবশেষ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২৩ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, ১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই বিমান হামলার ঘটনাগুলো ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সংঘর্ষকে নতুন উত্তেজনায় নিয়ে গেছে। বিশেষ করে গাজা উপত্যকার ওপর তেল আবিবের বর্বর আক্রমণের পর থেকে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত বছর হামাসের এক আক্রমণের পর এই পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়।
লেবাননের কর্তৃপক্ষের মতে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ২ হাজার ১৪১ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছেন। তাছাড়া, ইসরায়েল গত ১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে এই সংঘাতকে আরও ব্যাপক রূপ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্কতার পরও মধ্যপ্রাচ্যে এই অঞ্চলে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Discussion about this post