ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে আগামী ১৫ অগাস্ট জরুরি আলোচনায় বসার জন্য ইসরায়েল ও হামাসকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে এই তিন দেশ। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো ওই আহ্বান জানিয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহা কিংবা মিশরের রাজধানী কায়রোতে এ আলোচনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
তিন দেশ বিবৃতিতে আরও বলেছে, “চুক্তির একটি রূপরেখা এখন আলোচনার টেবিলে আছে। এর বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়গুলোর বিস্তারিত নির্ধারণ কেবল বাকি আছে। নষ্ট করার মতো সময় নেই। কিংবা আরও বিলম্ব করার জন্যও কোনও দলের পক্ষ থেকে অজুহাত দেওয়ার নেই। এখন জিম্মিদের মুক্ত করার সময়, যুদ্ধবিরতি শুরু করার সময় এবং চুক্তি বাস্তবায়নের সময়।”
নেতারা অমীমাংসিত কিছু বিষয়ের সমাধান করার জন্য চূড়ান্ত একটি সংযোজনমূলক প্রস্তাব উপস্থাপনের প্রস্তাবও করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের আলোচনাকরা সেখানে থাকবেন। তাদের লক্ষ্য হল, চুক্তির বিস্তারিত রূপরেখা চূড়ান্ত করা ও তা বাস্তবায়ন করা। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তিন দেশের পক্ষ থেকে এমন সময়ে বিবৃতি দেওয়া হল, যখন হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতা হত্যাকে কেন্দ্র করে ইরান বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পোর আশঙ্কা বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্ই হওয়ার আশা নেই। কারণ, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে সুরাহা হতে সময় লাগবে। আলোচনার টেবিলে দু’পক্ষেরই সক্রিয় থাকা দরকার।

Discussion about this post