ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, এই সংঘাতে ‘উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি সত্যিকারের ঝুঁকি’ রয়েছে। তাই তিনি সব পক্ষকে একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজতে অনুরোধ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, স্টারমার উল্লেখ করেছেন, এর আগে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা’ হয়েছে (ইরানের) এবং ‘আমার কাছে মনে হয়, এটিই এই সমস্যা সমাধানের পথ।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ওয়াশিংটনে উত্তেজনা কমানোর জন্য যুক্তরাজ্যের মতামত তুলে ধরতে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ল্যামি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আজ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গোপন সম্মতি’ রয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইরান নিয়ে আমার ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না!
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পরিকল্পনায় নীতিগত সম্মতি দিলেও চূড়ান্ত অনুমোদন স্থগিত রেখেছে এ আশায় যে, তেহরান হয়তো তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে।
তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, আমাকে সবাই এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে। কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। দেখা যাক কী হয়।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই তার সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ‘অত্যন্ত মধুর’।
ইসরাইলের একটি ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের দৃঢ়তা ও স্পষ্ট বার্তা—ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না—এই সংকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা নিশ্চিত করতে হলে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি (ট্রাম্প) তাদের আলোচনার সুযোগ দিয়েছেন, কিন্তু তারা তাকে ধোঁকা দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেউ ধোঁকা দিয়ে পার পেতে পারে না।
মার্কিন সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নেতানিয়াহু বলেন, এটি প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত, তবে তারা ইতিমধ্যেই আমাদের অনেক সহায়তা করছে।

Discussion about this post