ডেস্ক রিপোর্ট: ডলফিনের বুদ্ধি, সামাজিক আচরণ ও মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ডলফিনের মস্তিষ্ক অন্য অনেক প্রাণীর তুলনায় বেশ বড় ও জটিল। ডলফিনের সেরেব্রাল করটেক্স বা মস্তিষ্কের বহিরাবরণ ভাঁজযুক্ত যা জাইরিফায়েড নামে পরিচিত। মস্তিষ্কের এই গঠনের কারণে ডলফিন জটিল চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান ও যোগাযোগ করতে পারে। আর তাই দেখতে ভীষণ আদুরে ডলফিনকে সমুদ্রের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী বলা হয়।
মানুষ ও অন্যান্য উচ্চ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রাণীর মস্তিষ্কে স্পিন্ডল নিউরন নামের বিশেষ কোষ রয়েছে। এই কোষ আবেগ, সামাজিক আচরণ, বিচার ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত। ডলফিনের মস্তিষ্কেও এই স্পিন্ডল নিউরন রয়েছে। এ ছাড়া ডলফিনের শ্রবণ ও শব্দ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী। শুধু তা–ই নয়, দলবদ্ধভাবে শিকার করার পাশাপাশি একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে ডলফিন।
ডলফিন খেলাধুলাপ্রিয় ও কৌতূহলী প্রাণী। তারা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন বস্তু নিয়ে খেলা করে। এমন আচরণ ডলফিনের সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং নতুন দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে। ডলফিনরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য শিস, ক্লিক আর ব্রাস্ট পালস কৌশল ব্যবহার করে থাকে। ক্লিকের মাধ্যমে মূলত ইকো লোকেশন বা প্রতিধ্বনি দিয়ে দিক নির্ণয় করে শিকার খুঁজে বের করে ডলফিন।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, প্রতিটি ডলফিন স্বতন্ত্র শিস বাজাতে পারে, যা অনেকটা মানুষের নামের মতো কাজ করে। তারা একে অপরকে শনাক্ত ও সম্বোধন করতে এই শিস ব্যবহার করে। এমনকি মা ডলফিন বাচ্চাকে তার নিজস্ব শিস শিখিয়ে দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ডলফিনরা বহু বছর পরও তাদের পুরোনো সঙ্গীদের শিস মনে রাখতে পারে। গুগলের গবেষণা প্রকল্প ডলফিনগামা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডলফিনের ভাষার কাঠামো বোঝার চেষ্টা করছে।
খবর : ডলফিন ওয়ে ও উইকিপিডিয়া

Discussion about this post