ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে কৌশল গ্রহণের অভিযোগে এবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ। বিশ্বাসভঙ্গের এ মামলায় গতকাল সোমবার মেটার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এদিন ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল কোর্টে মামলায় সাক্ষ্য দিতে হাজির হন মেটার প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গ।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) ২০২০ সালে প্রথম মামলাটি দায়ের করে, অভিযোগ করে যে মেটা ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া বাজারে অবৈধ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে।
জাকারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে মেটার একচেটিয়া আধিপত্যের ওপর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে তারা ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রাস’ করেছেন। এর মাধ্যমে বাজারক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তারা। ২০১২ সালে ইনস্টাগ্রাম ও ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণ করলেও প্ল্যাটফর্ম দুটির কোনো উন্নয়ন করেনি মেটা।
ফেডারেল ট্রেড কমিশনের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হুমকি মনে করে মেটা সেই দুটি প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যমকে কিনে নেয়। মামলার প্রমাণ হিসেবে ২০১১-১২ সালের অভ্যন্তরীণ ই-মেইল উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইনস্টাগ্রামকে প্রতিযোগিতা ঠেকাতে কেনার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। খবর বিবিসির।
জাকারবার্গ এসব ই-মেইলকে তখনকার ‘প্রাথমিক আলোচনা’ হিসেবে দেখাতে চাইলেও আদালত এখন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। প্রযুক্তিবান্ধব ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলে মামলাটি বন্ধ হবে বলে জাকারবার্গ আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সে আশায় ভাটা পড়েছে। মামলায় হারলে মেটাকে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করতে হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য বড় ধাক্কা হবে।
ইনস্টাগ্রামকে অধিগ্রহণ করা বিষয়ক ২০১২ সালের আরেকটি ই-মেইলে কোনো উন্নয়ন না করেই জনপ্রিয় এ অ্যাপ চালু রাখার ও ফেসবুকের নিজস্ব সেবার উন্নয়ন করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, ফেসবুকের ওপর হতাশ ব্যবহারকারীরা যেন অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে না পারে।
২০১১ সালে ফেসবুকের একটি অভ্যন্তরীণ ই-মেইলে সতর্ক করা হয়েছিল যে ইনস্টাগ্রাম স্মার্টফোনে একটি জনপ্রিয় অ্যাপ হয়ে উঠেছে এবং জাকারবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নেটওয়ার্ক (ফেসবুক) যা অফার দেয়, তা সহজেই অনুলিপি করতে পারে এটি।

Discussion about this post