ডেস্ক রিপোর্ট: কিছুদিন আগে ৭.৭ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল গোটা মিয়ানমার। তীব্রতা এতটাই ছিল যে, সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পৌঁছায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও। প্রভাব পৌঁছে যায় ভারতের কলকাতাতেও।
আর সেই ভূকম্পনের জেরে এবার মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো প্রাচীন এক সৌধ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রাচীন এই সৌধটি আদি যুগের কোনো এক রাজপ্রাসাদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, এটি জলসৌধ বা ওয়াটার প্যালেস হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ মধ্য মিয়ানমারের ওই স্থানে বহু আগের ভূ-প্রাকৃতিক গঠন তেমনটাই বলছে।
জলসৌধ বা ওয়াটার প্যালেস আদতে কী? এর একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে ভারতে অবস্থিত রাজস্থানের জলমহল থেকে।
রাজস্থানের জলমহলটি ঠিক পানির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি সৌধ। মানসাগর হ্রদের ওপরে ভাসমান দেখতে এই বিশেষ মহলে আগে রাজা মহারাজারা আসতেন শিকার করার জন্য। বর্তমানে এটি পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ।
এছাড়া ত্রিপুরাতেও রয়েছে রুদ্রসাগর হ্রদের মধ্যে এমন ভাসমান দেখতে নীরমহল। তেমনই এক রাজমহলের খোঁজ মিলেছে মিয়ানমারে।
আগে ওই প্রাচীন সৌধটির শুধু সিঁড়ির অংশটি দৃশ্যমান ছিল। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ধীরে ধীরে রেলিং, ইঁটের গড়ন সবটাই দৃশ্যমান হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই বিশেষ সৌধটি কাঠ দিয়ে নির্মিত ছিল।
সাধারণ মিয়ানমারের স্থাপত্য যা খুবই প্রচলিত, বিশেষ করে মনাস্ট্রিগুলোতে।
মিয়ানমারে কোনবঙ রাজবংশের রাজত্বকাল ছিল ১৭৫২ থেকে ১৮৮৫ সাল পর্যন্ত। এর পর ব্রিটিশরা দখল করে নেয় দেশটি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই প্রাচীন সৌধ কোনবঙদের রাজত্বকালেই নির্মিত।
তাই ভূমিকম্পে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা এই সৌধের ভেতর থেকে ওই সময়কার অনেক অজানা ইতিহাসই জানা সম্ভব।
খবর : হিন্দুস্তান টাইমস

Discussion about this post