ডেস্ক রিপোর্ট: বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। আজ রবিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকরা। ভোটে সহিংসতার আশঙ্কায় অতিরিক্ত ৩০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মধ্যপন্থী প্রধানমন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল গত শুক্রবার বলেন, কট্টর ডানপন্থী সরকার শুধু ঘৃণা ও সহিংসতা বয়ে আনবে।
তবে উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির নেতা জর্ডান বারডেলা প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগকে অনৈতিক ও গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দেন। একই সঙ্গে ভোটারদের সংঘবদ্ধ হতে এবং তাঁকে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার আহবান জানান বারডেলা।
গত রবিবার প্রথম দফার ভোটে ন্যাশনাল র্যালি সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। প্রথম দফায় প্রতি তিনজন ভোটারের একজন উগ্র ডানপন্থী দলটিকে সমর্থন দেয়।
প্রথম দফার সাফল্যে মেরিন লো পেনের দল ন্যাশনাল র্যালি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশা করছে।
এদিকে প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় হওয়া দুই শতাধিক প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। মূলত কট্টর ডানপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে একজোট হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
যদিও লো পেন বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯টি আসন জেতার সম্ভাবনা আছে তাঁর দলের।
ভোটারদের সামনে এখন বিকল্প হলো, উগ্র ডানপন্থী সরকার অথবা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বেছে নেওয়া। তবে ভোটারদের আশঙ্কা, যে দলই জিতুক না কেন, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

Discussion about this post