ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামী শনিবার (২৬ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা, যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি অভিবাসন ইস্যুতে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বারবার মতবিরোধে ছিলেন, তার স্ত্রীসহ রোমে গিয়ে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন। এছাড়া, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলি এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভাও এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন। এদিকে, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ ডুদাও যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এবং নিজ দেশে একদিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চূড়ান্ত এই অনুষ্ঠানটির নেতৃত্ব দেবেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে। তিনি ‘চূড়ান্ত সমর্পণ প্রার্থনা’ পাঠ করবেন, যা পোপকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
পোপের মরদেহ রোমের সান্তা মারিয়া মেজিওর ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হবে, যা পোপ ফ্রান্সিসের পূর্বসূরির সমাধির স্থান। সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় বুধবার সকাল ৯টা থেকে পোপের কফিন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে এবং মানুষ সেখানে গিয়ে শেষকৃত্য পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন এবং এক মাস আগে তিনি ভ্যাটিকানে ফিরে আসেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষে তিনি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে উপস্থিত ছিলেন, তবে পরদিন সকালে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

Discussion about this post