ডেস্ক রিপোর্ট: জলবায়ু পরিবর্তনের ইতিহাসে ২০২৪ সালকে রেকর্ড উষ্ণতম বছর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে গত বছরজুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আর তাই পৃথিবীর উষ্ণতা কমাতে সৌর বিকিরণ পরিবর্তন বা সৌর বিকিরণ ব্যবস্থাপনা (এসআরএম) কৌশল প্রয়োগের পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেক স্কুল অব পাবলিক পলিসির বিজ্ঞানীরা।
সৌর বিকিরণ ব্যবস্থাপনা সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নামেও পরিচিত। এই কৌশল সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবী উষ্ণতা কমানোর মাধ্যমে তাপমাত্রা-সম্পর্কিত মৃত্যু হ্রাস করে ৪ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসে (পিএনএএস) এ বিষয়ক গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সৌর জিওইঞ্জিনিয়ারিং বলতে বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে অ্যারোসল ইনজেকশন ধারণাকে বোঝানো হয়। বিশেষ এ প্রক্রিয়া বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন পদার্থ স্প্রে করা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার কৌশল অনুসরণ করতে চান বিজ্ঞানীরা। এসব কণা সূর্যের আলোকে আবার মহাকাশে ফিরিয়ে দিয়ে পৃথিবীকে শীতল করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে এই কৌশল মানবজাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্বন নির্গমন হ্রাস ও কার্বন অপসারণের মতো দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য এই কৌশল বেশ কার্যকর বলা হচ্ছে। এই কৌশলের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি কমানো যাবে।
বর্তমানে কম্পিউটার মডেল ও বিভিন্ন গবেষণার তথ্য ব্যবহার করে এই কৌশলের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের কম্পিউটার মডেলের তথ্য মতে, পৃথিবীর তাপমাত্রা মাত্র ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতল হলে বছরে ৪ লাখ মৃত্যু প্রতিরোধ করা যাবে। তবে সৌর জিওইঞ্জিনিয়ারিং বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই কৌশলের কারণে বাতাসের গুণগত মান ও ওজোন স্তর হ্রাসের মতো ঝুঁকি নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
খবর : আর্থ ডটকম

Discussion about this post