ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাস শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানায়, উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী গত দুই সপ্তাহ ধরে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ধারাবাহিক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। পশ্চিম তীরের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর। এখন পশ্চিম তীরের তুবাস, জেনিন ও তুলকার্মে বর্ধিত অভিযান চালাচ্ছে তারা।
রয়টার্স জানায়, ফিলিস্তিনের এই তিনটি শহরেই হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহর সশস্ত্র শাখাগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি আছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বিমান হামলার কথা নিশ্চিত করে বলেছে, সশস্ত্র একটি ‘জঙ্গি গোষ্ঠীকে’ লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে। কিন্তু আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে আইএএফের (ইসরায়েলি বিমান বাহিনী) একটি আকাশযান তুবাসের এক এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি সেলের ওপর আঘাত হেনেছে।”
পশ্চিম তীরের উত্তর প্রান্তে জর্ডান সীমান্তের নিকটবর্তী শহর তুবাসে প্রবেশ করার ও বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শহরের ভেতর দিয়ে সাঁজোয়া যান ও এক্সেভেটরসহ ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক যানগুলোকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী তিনটি শহরেই রাস্তা খুঁড়ে রেখে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় সড়ক ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তিন শহরেই ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে মঙ্গলবার তুলকার্মে ইসরায়েলি অভিযানে এক ফিলিস্তিনি পুরুষ ও আরেক নারী নিহত হয়েছেন।
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। এখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নিয়মিত বন্দুক লড়াই হচ্ছে। প্রতিদিন ইসরায়েলি বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে আর এসব অভিযানে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post