ডেস্ক রিপোর্ট: বিধ্বস্ত টাইটান সাবমেরিন নিয়ে দুই বছরব্যাপী তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার প্রকাশিত ৩৩৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবমেরিনটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণভাবে নকশা করা হয়েছিল, আর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট তা ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রেখেছিল।
প্রতিবেদন অনুসারে, কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি নকশা সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়ছিল, কিন্তু বারবার যান্ত্রিক সমস্যা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি সাবমেরিন চালানো বন্ধ করেনি। বরং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কর্মীদের হুমকি দেওয়া হতো চাকরি হারানোর। তদন্তে আরও উঠে আসে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নজর এড়াতে ওশানগেট পরিকল্পিতভাবে বৈজ্ঞানিক ভাবমূর্তি ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুনে আটলান্টিক মহাসাগরের ৩ হাজার ৩০০ মিটার গভীরে ডুবে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে বিস্ফোরিত হয় টাইটান সাবমেরিন। এতে থাকা পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ধনকুবের ও অভিযাত্রী হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান এবং ফরাসি ডুবুরি ও টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নার্জিওলেট।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২২ সালের এক ডাইভেই সাবমেরিনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল, যা ছিল কাঠামোগত ভাঙনের সূচনা। কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সময় থেকেই প্রতিটি ডাইভ ছিল জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ।
এই তদন্ত প্রতিবেদন গভীর সমুদ্র অভিযানে নিরাপত্তা, জবাবদিহি এবং নীতিগত তদারকি নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Discussion about this post