ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন হামাসের এক কর্মকর্তা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, ইসরায়েল নির্ধারিত ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা আর কোনও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসবে না। আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
নাইম বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার আগে, আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে আগের পর্যায় সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে-অর্থাৎ ৬২০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে বার্তা দিচ্ছেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি ভেস্তে দিচ্ছেন এবং পুনরায় যুদ্ধের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করছেন।’
শনিবার ছয় ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরাইল হঠাৎ করে সেই মুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাস আমাদের জিম্মিদের অপপ্রচারের কাজে ব্যবহার করছে। তারা যেভাবে বন্দিদের মুক্তির অনুষ্ঠান করছে, তা আমাদের জিম্মিদের জন্য অপমানজনক।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস ও ইসরাইল একাধিক বন্দিবিনিময় করেছে।
কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে চান না।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘লোকাল কল’ এর সম্পাদক মেরন রাপোপোর্ট আল জাজিরাকে বলেন,নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান। তবে এর ফলে তিনি ইসরায়েলি জনসাধারণের কাছ থেকে প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারেন।
এই সপ্তাহে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে বাসেম নাইম বলেন, ‘সব বিকল্প খোলা রয়েছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নেতানিয়াহু যদি এই চার মৃতদেহ গ্রহণ করেন, তবে তিনি কি চুক্তি অনুযায়ী, ৬২০ বন্দিসহ সকল বন্দিকে মুক্তি দেবেন? নাকি তিনি আবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন?
তিনি আরও বলেন, শুধু বৃহস্পতিবারের পরিকল্পনা নয়, পুরো চুক্তির অন্য অংশগুলোর ভবিষ্যতও অনিশ্চিত।

Discussion about this post