ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরাইলকে যেসব প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করেছেন অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজ। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটসহ ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। খবর আলজাজিরার।
বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেড (গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান) ও অ্যামাজনের নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তদন্তের অংশ হিসাবে এক হাজারের বেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ইসরাইলের চিরস্থায়ী দখলদারত্ব অস্ত্র প্রস্তুতকারক ও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সেখানে চাহিদা ও জোগানের সুযোগ রয়েছে। তবে নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। কোনো জবাবদিহিতাও নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব বড় প্রতিষ্ঠান এখন আর শুধু ইসরাইলের দখলদারত্বে যুক্ত নয়, বরং গণহত্যার অর্থনৈতিক কাঠামোর অংশ হয়ে গেছে। ২০২৪ সালে আলবানিজ এক বিশেষ মতামতে বলেছিলেন, গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার পর্যায়ে পড়ার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে গাজায় কেন ইসরাইলের গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। এ গণহত্যা অনেকের জন্য লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে অস্ত্র ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নাম এসেছে। ইসরাইল বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রয় কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লকহিড মার্টিন। এ যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে অর্থনীতির অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো আরও গভীরভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তারা যেন অবিলম্বে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারত্বে যুক্ত কার্যক্রম থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে।

Discussion about this post