ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা উপত্যকায় আবারও জোরালো হামলা শুরু করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্তত ৩৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান মোহাম্মেদ জাকুত এএফপিকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করেছে। তাদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে।
গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ একটি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়।
২০টিরও বেশি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে নিহতদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং ২৮ জন নারী রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা সব হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা।ইসরাইল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে।
গাজায় হামলার পরিকল্পনা ‘আইডিএফ গত সপ্তাহের শেষে উপস্থাপন করেছিল এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা অনুমোদন করেছিল’ বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন হামাসকে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে হামাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরাইল গাজায় বন্দি অবশিষ্ট ইসরাইলি জিম্মিদের ‘একটি অজানা ভাগ্যের’ দিকে ঠেলে দিলো।
তবে হামাস এখনও ঘোষণা করেনি যে তারা যুদ্ধ পুনরায় শুরু করছে, পরিবর্তে মধ্যস্থতাকারীদের এবং জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজকে বলেছেন, হামলা চালানোর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইসরাইল পরামর্শ করেছিল।

Discussion about this post