ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ফিলিস্তিনি আমেরিকান এক মেয়ে শিশুকে ডুবিয়ে মারার চেষ্টায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন এক মার্কিন নারী। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি গ্র্যান্ড জুরি তাকে অভিযুক্ত করেছেন। মে মাসে তিন বছর বয়সী ওই মেয়েটিকে হত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। পুলিশ বলেছে, জাতিগত বিদ্বেষের কারণে এমন চেষ্টা করেছিল সে। বুধবার একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আদালতের রেকর্ডে বলা হয়েছে, গত মাসে দায়ের করা একটি অভিযোগে এলিজাবেথ উলফ নামের ৪২ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজনকে ট্যারান্ট কাউন্টির একটি গ্র্যান্ড জুরি অভিযুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য উলফ এর প্রতিনিধির সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করা যায়নি। তার বিরুদ্ধে ১০ বছরেরও কম বয়সী ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা ও ইচ্ছাকৃতভাবে একটি শিশুকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ঘৃণামূলক এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তের শাস্তির তীব্রতা বাড়তে পারে।
পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে ইউলেসের ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ উপশহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স সুইমিংপুলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।
তখন সন্দেহভাজন তিন বছর বয়সী মেয়েটির মায়ের কাছে এসেছিলেন। এসময় তিনি তার ছয় বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে পুলে ছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন তারা কোথা থেকে এসেছেন। পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন তখন তিন বছরের শিশুটিকে ডুবিয়ে দেওয়ার এবং তার ছয় বছর বয়সী ছেলেটিকে ধরার চেষ্টা করেছিল।
পুলিশ বলেছে, তখন মা তার মেয়েটিকে পানি থেকে টেনে আনতে সক্ষম হন এবং স্থানীয় চিকিৎসকরা সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর-টেক্সাস) চলতি বছরের শুরুতে বলেছিল, অভিযুক্তরা ‘বর্ণবাদী জিজ্ঞাসাবাদের’ জন্য শিশুটির মায়ের কাছে গিয়েছিল এবং তার পরে পুলের অগভীর প্রান্তে থাকা শিশুটিকে ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি আমেরিকান, মুসলিম, আরব এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা।
নভেম্বরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে ২০ বছর বয়সী তিন ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করা হয়েছিল। তখন তাদের তিনজনই আহত হন।
এক মাস আগে, ইলিনয়েতে ছয় বছর বয়সী ফিলিস্তিনি আমেরিকান একটি ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং তার মাকে গুরুতর আহত করার দায়ে ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা ও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
পুলিশের মতে, বয়স্ক এই হামলাকারী গাজা যুদ্ধ ও তাদের ধর্মের প্রতি প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

Discussion about this post