ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার জন্য বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছায় ইসরাইলি প্রতিনিধি দল। তবে কোনো ধরনের চুক্তি বা অগ্রগতি ছাড়াই তারা দোহা ত্যাগ করে চলে গেছে।
শুক্রবার ইসরাইলি মিডিয়ার বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য দিয়েছে।
হিব্রু ভাষার ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, নিরাপত্তা সংস্থা সিনবেত এবং সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি ইসরাইলি আলোচনাকারী দল শুক্রবার কাতার থেকে ইসরাইলে ফিরে এসেছে।
দৈনিকটি আরও বলেছে, ফিলাডেলফি রুটে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি, রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া এবং আলোচিত নেটজারিম রুট পরিদর্শনের বিষয়গুলোসহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্ধারিত রেড লাইন সম্পর্কিত আলোচনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বিগত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর মিলে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি জিম্মি বিনিময় চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
তবে এ যুদ্ধ বন্ধে হামাসের দাবি পূরণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অস্বীকৃতি জানানোর কারণে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা বারবার স্থবির হয়ে পড়ছে।
অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি গত ১৯ জুলাই একটি যুগান্তকারী মতামতের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের কয়েক দশকের দখলদারিত্বকে বেআইনি ঘোষণা করেছে এবং পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমস্ত বসতি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
তা সত্ত্বেও একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
এছাড়া আহত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি। ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন ও অবরোধের ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে এ অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি

Discussion about this post