ডেস্ক রিপোর্ট: পারস্পারিক সম্পর্কে অবনতির জেরে ব্রাজিল ও নিকারাগুয়া একে অপরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে।
বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ব্রাসিলিয়ায় নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে নিকারাগুয়ার ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকার মানাগুয়ায় বাজিলের রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
এরপরই ব্রাজিল ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুলার চিফ অব স্টাফ। এতে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতিই সামনে এসেছে, যা ভেনেজুয়েলার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিভক্তির কারণে অনেক বেশি খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশ না করায় ভেনেজুয়েলা সরকারের সমালোচনা করেছেন লুলা।
ব্রাজিলের চিফ অব স্টাফ রুই কস্তা সাংবাদিকদের বলেন, “কূটনীতিতে পারস্পরিকতা আছে। নিকারাগুয়া যখন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে বলছে, তখন এই পারস্পরিকতার নিয়মে নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূতকেও ব্রাজিল ছাড়তে হচ্ছে।”
কস্তা বলেন, “ব্রাজিল প্রত্যেকের সঙ্গে শান্তি ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, কিন্তু রাষ্ট্রদূতদকে হয়রানি করাটা সহ্য করবে না।”
ব্রাজিলের এক কর্মকর্তা বলেন, নিকারাগুয়ার কূটনীতিক প্যাট্রিসিয়া কাস্ত্রো মাতুসকে ব্রাজিল ছাড়তে বলা হয়েছে, কারণ তিন সপ্তাহ আগে হুমকি দেওয়ার পর তার সরকার ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ব্রেনো ডি সুজা দা কস্তাকে বহিষ্কার করছে।

নিকারাগুয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো পরে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত সেদিন সকালে রাজধানী মানাগুয়া ত্যাগ করেছেন। আর ব্রাজিলের নিকারাগুয়ান কূটনীতিকও দেশের অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ে একটি পদে যোগদান করার জন্য ফিরে আসছেন।
গত মাসে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত নিকারাগুয়ায় সান্দিনিস্তা বিপ্লব স্মরণে আয়োজিত ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়াকে কেন্দ্র করেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গত বছর পোপ ফ্রান্সিসের অনুরোধে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এক ক্যাথলিক বিশপ ও নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার কড়া সমালোচক রোলান্ডো হোসে আলভারেজের কারাগার থেকে মুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
লুলা সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর পোপ তাকে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানানোর পর তিনি ওর্তেগাকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট সেই ফোন ধরেননি।
তারপর থেকে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিকারাগুয়ার সঙ্গে কেবল নূন্যতম সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে যাতে কেবল মানাগুয়ায় থাকা ব্রাজিলীয় নাগরিকদের প্রয়োজন মেটানো যায়।

Discussion about this post