ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের সরকার কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। সে দেশের তথ্যমন্ত্রী সোমবার এ কথা বলেছেন। সাবেক নেতার পক্ষে আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তের কয়েক দিন পর এ খবর এলো।
ইমরান খানকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলকে দমন-পীড়নের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তার অবাধ্যতার ফলস্বরূপ এমন ঘটেছে। নির্বাচনের পর সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত দলগুলোর একটি জোট ক্ষমতায় আসে। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। এরপর গত সপ্তাহে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো ইমরান খানের পক্ষে যায়।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি মামলা করবে এবং মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে। পিটিআই ও পাকিস্তান সহাবস্থান করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেই সঙ্গে ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস ও দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগের উল্লেখ করে আদাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পিটিআই নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে মামলাটি লড়ব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেব না।
এদিকে পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তার দল সরকারের এ প্রচেষ্টা ‘সহ্য করবে না’। রওফ হাসান বলেন, ‘পিটিআই আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। আমরা এর মুখোমুখি হব।’
ইময়ান খান ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বিপত্তি সত্ত্বেও পিটিআইয়ের অনুগত প্রার্থীরা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করে।

Discussion about this post