ডেস্ক রিপোর্ট: নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শুক্রবার রাতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল শীতল নিবাসে (রাষ্ট্রপতির কার্যালয়) তাকে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন।
কার্কির নিয়োগ নেপালের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ তিনি দেশের প্রথম মহিলা অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
রাষ্ট্রপতি পৌডেল তাকে সংবিধানের ধারা ৬১ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। তবে সাধারণত ধারা ৭৬ অনুযায়ী দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হয়ে থাকে। কিন্তু কার্কির নিয়োগ ধারা ৬১ অনুযায়ী হওয়ায় এটি সংবিধান ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।
দেশটির সংবিধানের ৬১ ধারায় প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নির্বাচন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বর্ণিত আছে। বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট সংবিধান ও ফেডারেল আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বদা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি দেশের জাতীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। এই ধারায় প্রধানমন্ত্রীর পদ, ক্ষমতা বা নিয়োগের বিষয়ে সরাসরি কোনোকিছুই উল্লেখ নেই।
এখনো নেপালের সংসদ বহাল রয়েছে। কার্কির নিয়োগের আগে প্রেসিডেন্টের দাবি ছিল, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরই কেবল নতুন সরকারপ্রধান অর্থাৎ সুশীলা শপথ নেবেন। তবে জেন–জি আন্দোলনকারীদের দাবি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখে সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়াতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। সংসদ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে।
দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারে আর কে কে থাকবেন তা এখনো জানা যায়নি।
খবর : খবরহাব

Discussion about this post