ডেস্ক রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার রাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এরপর থেকে প্রশ্ন উঠছে, এই হামলার তথ্য যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই জানত কি না। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়, এমন দাবি ইতোমধ্যেই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এরপর ট্রাম্প ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিষয়টা সম্পর্কে তিনি আগে থেকেই জানতেন।
ট্রাম্পের কথা বার্তা থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে বড় সংঘাতের ইঙ্গিত মিলছিল। হামলার ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে ওয়াশিংটনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছিলেন সবাইকে। বলেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ‘বড় সংঘর্ষের শঙ্কা’ আছে। এর ঠিক পরই হামলার ঘটনাটা ঘটল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আগে সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, তিনি সংঘর্ষ এড়াতে চান। তিনি ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় ইসরাইলকে হামলা না করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র আর ইরানের মধ্যে যতক্ষণ আলোচনার সুযোগ আছে, ততক্ষণ তারা এমন কিছুতে যেন না জড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাই আমরা। এই চুক্তির বেশ কাছাকাছিও চলে এসেছি আমরা। আমরা যতক্ষণ মনে করি যে চুক্তির সুযোগ আছে সামনে, ততক্ষণ ইসরাইল আগ বাড়িয়ে ইরানে হামলা চালাক, তা আমি চাই না। এতে চুক্তিটা ভেস্তে যেতে পারে। আবার সাহায্যও করতে পারে বিষয়টা, যদিও সেটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।’
তারও আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এটি করা হয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে সংবাদ মাধ্যম সিবিএস জানায় এ খবর।
এই হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্র শঙ্কা করছিল, ইসরাইলের ‘সম্ভাব্য’ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্থাপনায় হামলা করতে পারে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ার।
এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানে ইসরাইলি হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি আগে থেকেই জানতেন। যদিও এই হামলায় তার দেশের সামরিক বাহিনীর কোনো হাত ছিল না। ট্রাম্প এখনও আশা করছেন যে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘ইরান পারমাণবিক বোমা রাখতে পারে না এবং আমরা আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আশা করছি। আমরা দেখব।’

Discussion about this post