ডেস্ক রিপোর্ট: জাপানে চাল বহু শতাব্দী ধরে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে প্রচলিত চালের দাম হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার প্রকাশিত দেশটির মুদ্রাস্ফীতির তথ্যে দেখা গেছে, গত এপ্রিল মাসে দেশটিতে চালের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৯৮ শতাংশ বেশি ছিল।
চালের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জাপানের সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের এ অস্বাভাবিক দামের ঊর্ধ্বগতির প্রধান কারণ হলো সরবরাহে ঘাটতি।
এ ঘাটতির পেছনে বেশ কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো- ২০২৩ সালে নজিরবিহীন তাপদাহ চালের উৎপাদন ব্যাহত করে। ২০২৪ সালে ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি হওয়ার পর চালের ঘাটতির আশঙ্কায় মানুষ বেশি পরিমাণ চাল মজুদ করার চেষ্টা করে। এর ফলে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়।
এছাড়া রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি পর্যটকের আগমনের ফলে সুশি ও চাল-নির্ভর খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চাল মজুদ করে কারসাজির অভিযোগ উঠে। সেই সঙ্গে দেশটিতে দিন দিন ধান চাষের জমি কমে যাচ্ছে।
জাপানিদের মধ্যে ভাত খাওয়ার অভ্যাস ক্রমশ কমতে থাকায় সরকার ধানের চাষ কমিয়ে অন্যান্য ফসল চাষে উৎসাহ দিয়ে আসছিল। এছাড়া দেশটিতে চাষীদের গড় বয়স অনেক বেশি এবং তাদের সন্তানরা আর কৃষিকাজে তেমন আগ্রহী হচ্ছেন না।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ কৃষি খামার পরিচালনা করেন ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এবং ৭০ শতাংশ কৃষকের কোনো উত্তরসূরি নেই।
১৯৬১ সালের জরিপে ধানচাষ করা জমি ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ হেক্টর। ২০২৪ সালে তা কমে ২৩ লাখ হেক্টরেও দাঁড়িয়েছে।

Discussion about this post