ডেস্ক রিপোর্ট: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে রাশিয়া একমাত্র শর্ত দিয়েছে—যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। ইউক্রেন বলছে, এই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খসড়া শান্তি চুক্তির মধ্যেও ছিল না।
তবে আলোচনা থেকে একটি সিদ্ধান্ত এসেছে যে, দুই দেশ ১,০০০ যুদ্ধবন্দী বিনিময় করবে। ঠিক কবে এই বিনিময় হবে, সে বিষয়টি এখনো জানানো হয়নি।
এই আলোচনার ঠিক আগে ইউক্রেনের সুমি শহরে একটি রুশ ড্রোন হামলায় বাসের ৯ জন যাত্রী নিহত হন। ঘটনাটিকে বেসামরিক মানুষকে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তবে তা নির্ভর করছে নির্দিষ্ট কিছু চুক্তির ওপর। যদিও পুতিন এখনো জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি।
রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে শুরু করেছেন। তিনি এই যুদ্ধকে ‘বোকামি’ বলে উল্লেখ করে উভয় পক্ষকে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে বলেছেন, না হলে মার্কিন মধ্যস্থতা তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো খুব একটা কার্যকর হয়েছে কিনা—সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে, আলোচনা শুরু হলেও যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এখনো বড় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শান্তির পথ এখনো অনেকটাই বন্ধ।
খবর : রয়টার্স

Discussion about this post