ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া শুল্কযুদ্ধের উত্তাপ সাময়িকভাবে কমাতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। পারস্পরিক আলোচনার পর দুই দেশ আগামী ৯০ দিনের জন্য একে অপরের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করতে সম্মত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, এই সময়ে উভয় দেশই পারস্পরিকভাবে আরোপিত শুল্ক ১১৫ শতাংশ হারে কমাবে।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পর এটি ছিল প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
তৎপরবর্তীতে চীনও কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তবে নতুন সমঝোতা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনা পণ্যে শুল্ক ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে এবং চীনও মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে — উভয়ই ৯০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে চীনের উচিত হবে ফেন্টানিল নামের ভয়াবহ মাদকের অবৈধ রপ্তানি বন্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। এ বিষয়ে চীনের সদিচ্ছা দেখে ওয়াশিংটন আশাবাদ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছে। আমাদের লক্ষ্য ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পথে অগ্রসর হওয়া এবং এটি তারই সূচনা।
প্রথম দফায় শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল এবং বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কাও জোরালো হয়েছিল। তবে এবার এই চুক্তির ঘোষণায় বিশ্ব শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
হংকংয়ের হ্যাং সেং ইনডেক্স একদিনেই ৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়, যদিও সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স আলোচনার ঘোষণা আসার আগেই বন্ধ হয়ে যায় — তাও ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলোও উচ্চমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু করে এবং মার্কিন বাজারগুলোও ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়।

Discussion about this post