ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের’ একটি শক্তিশালী প্রতিবেদন শেয়ার করে গাজার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছা দূত এবং বিশেষ দূত হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা জোলি গাজাকে ‘ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের সাহায্যকারীদের জন্য গণকবর’ হিসেবে বর্ণনা করার ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে তুলেছেন।
জোলির শেয়ার করা চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে তাদের সামরিক আক্রমণ পুনরায় শুরু এবং সম্প্রসারিত করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রয়োজনীয় সাহায্য আটকে দিচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের জীবন আবারও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের মারাত্মক হামলা গাজায় মানবিক সাহায্য এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট হুমকি।
এতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা গাজার ওপর থেকে ‘অমানবিক ও মারাত্মক অবরোধ’ যেন জরুরিভাবে তুলে নেয়, যা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবিক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জীবন রক্ষা করে। পোস্টটিতে যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশাও প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ৫১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। অবরুদ্ধ উপত্যকায় আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি।
খবর : ডেইলি সাবাহ

Discussion about this post