ডেস্ক রিপোর্ট: এক সপ্তাহে দুই দফা ন্যাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তিন দিনের ব্যবধানে ন্যাটোর আকাশসীমায় দুটি রুশ উড়োজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। রোববার এক বিবৃতিতে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন দাবি করেছে।
বিবৃতি অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার ন্যাটোর আকাশসীমায় প্রবেশ করে রাশিয়ার উড়োজাহাজ। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল বাল্টিক সাগরের আকাশে দেখা যায় রুশ আইএল-২০এম কুট-এ মডেলের একটি গোয়েন্দা বিমান। সেটি নজরে আসা মাত্রই যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) দুটি টাইফুন জেট ছুটে যায়। টাইফুনের ধাওয়া খেয়ে রুশ আকাশযানটি ন্যাটোর আকাশসীমা ছাড়ে বলে জানানো হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার মাঝে অবস্থিত রুশ শহর কালিনিনগ্রাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে একটি অজানা আকাশযান। সেটিকেও প্রতিহত করে আরএএফের দুটি টাইফুন জেট। দুই দফায়ই পোল্যান্ডের মালবার্ক বিমানঘাঁটি থেকে অভিযান চালায় রয়্যাল এয়ারফোর্স।
ন্যাটোর বর্ধিত আকাশ প্রতিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে এ অভিযান দুটি চালাল যুক্তরাজ্য। মালবার্কে নিজেদের উড়োজাহাজ ও সেনা মোতায়েনের পর এবারই প্রথম রুশ উড়োজাহাজ প্রতিহত করল আরএএফ। ন্যাটোর নতুন সদস্য সুইডেনও এই মিশনের অংশ। যুক্তরাজ্যের নতুন এ মিশনের নাম অপারেশন চেসম্যান।
রুশ উড়োজাহাজ প্রতিহত করতে রয়্যাল এয়ার ফোর্স-এর যুদ্ধবিমানের ব্যবহার এবারই প্রথম নয়। গত বছর, স্কটল্যান্ডের আরএএফ লসিমাউথ ঘাঁটি থেকে দুটি টাইফুন জেট উড়ে যায়, যখন একটি রুশ বেয়ার-এফ বোমারু বিমান উত্তর সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ গোয়েন্দা বিমানটি যুক্তরাজ্যের নজরদারির আওতার মধ্যে শনাক্ত হয়েছিল, তবে এটি যুক্তরাজ্যের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারেনি।
উত্তর সাগরের আকাশসীমায় একটি রুশ বেয়ার এফ বোমারু বিমান শনাক্ত করা হয়। সেসব স্কটল্যান্ডের লসিমাউথ ঘাঁটি থেকে সেটিকে ধাওয়া করে আরএএফের যুদ্ধবিমান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে লসিমাউথ ঘাঁটি থেকে মোট ৫০টি রুশ বিমান প্রতিহত করে আরএএফ।

Discussion about this post