ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পর এবার ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন তার স্ত্রী মিশেল ওবামা। মঙ্গলবার প্রচারিত একটি পডকাস্টে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। চলতি বছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মিশেল। খবর সিএনএনের।
ওই পডকাস্টে মিশেল বলেন, আমি এখন নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সময় দিচ্ছি। নিজেদের চাহিদামতো সময় কাটাচ্ছি।
আট বছর আগে হোয়াইট হাউসে থাকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আগে সবসময় নিজের মতো করে সময় কাটানো সম্ভব ছিল না। তবে এখন আমি নিজের ক্যালেন্ডার নিজেই সাজাতে পারছি। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিচ্ছি। আগে সেই স্বাধীনতা ছিল না।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বারাক ওবামার সঙ্গে তার অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমি এখন নিজের মতো করে করণীয় ঠিক করছি। বাচ্চাদেরকে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের পড়াশোর খেয়াল রাখছি। আর কিছু মানুষ মনে করছে, ওবামার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি হ্যামিলটন কলেজের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন টেপারের সঙ্গে এক কথোপকথনে বারাক ওবামাও বলেন, এখন তার স্ত্রী মিশেল ওবামার সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন। তিনি স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে দুই মেয়াদ কাটানোর সময় মিশেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
তিনি বলছেন, মাঝে হারানো সময়টাকে পুষিয়ে নিতে তিনি মিশেলকে আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্কে গভীর ঘাটতি ছিল। সুতরাং এই যে আমাদের ছেদ পড়েছে, সেটা পূরণ করতে আমরা মাঝেমধ্যে নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছি।
বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামার দাম্পত্য জীবন প্রায় ৩৩ বছরের। এর আগে বারাক ওবামা বলেছিলেন, হোয়াইট হাউস থেকে তিনি বেরিয়ে আসার পর মিশেলের সঙ্গে তার সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা ১৯৯২ সালে বিয়ে করেন। ১৯৮০–এর দশকের শেষের দিকে একটি আইনি প্রতিষ্ঠানে প্রথম তাদের সাক্ষাৎ হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তাদের নাম সাশা ও মালিয়া।

Discussion about this post