ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরাইলি আগ্রাসনের পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি যেন ঈদের খুশি নিয়ে এসেছে গাজাবাসীর মধ্যে। স্বজন হারানোর ব্যথিত হৃদয় নিয়েই যুদ্ধবিরতির আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে গাজাবাসী।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলেছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি। তিনি বলেছেন, ‘৪৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় যুদ্ধ চলার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির মানুষ এখন বোমার শব্দের পরিবর্তে শিশুদের খেলার শব্দ শুনতে পাচ্ছে। ’
প্রথম দিনটি কেমন ছিল সে বিষয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনটি ভালো ছিল। রোববার মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহের প্রবাহ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে হবে এবং চুক্তির সব নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি সবার দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সঠিক পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতির প্রথমদিনে তিন নারী ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post