Print Date & Time : 1 May 2025 Thursday 4:35 am

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সঙ্গে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। উভয় পক্ষকে সংযত থাকতে এবং উত্তেজনা না বাড়াতে উৎসাহিত করতে তারা এই বৈঠক করবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন উভয় দেশকেই উত্তেজনা হ্রাস করার আহ্বান জানাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং অবশ্যই বলছি যেন তারা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ না করে।’

ব্রুস বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বিশ্বাস দেন, এই পরিস্থিতিতে কূটনীতিটাই প্রথম সারিতে থাকা উচিত।’ রুবিও অন্যান্য দেশের নেতাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও অনুরোধ করেছেন যেন তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে ২২ এপ্রিলের পাহালগাম হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এটি ২০০০ সালের পর অঞ্চলটিতে অন্যতম ভয়াবহ হামলা।

২৩ এপ্রিল ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে, যা বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবন্টন চুক্তি। এতদিন দুই দেশের মধ্যে নানা উত্তেজনার মাঝেও টিকে ছিল এই চুক্তি।

পরদিন পাকিস্তান এর জবাবে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত রাখার হুমকি দেয় এবং ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।

ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার পেছনে সীমান্ত পেরিয়ে কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে, যদিও এখন পর্যন্ত সরাসরি প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। পাকিস্তান জোরালোভাবে যেকোনো জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছেন, যাতে প্রকৃত সত্য জানা যায়।

এদিকে তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার মঙ্গলবার রাতে জানান, ইসলামাবাদের কাছে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাহালগাম হামলাকে অজুহাত বানিয়ে সামরিক হামলা চালাতে পারে।

তিনি ভারতের অবস্থানকে ‘নিজের ইচ্ছেমতো বিচারক, জুরি এবং কার্যকরকারী হওয়ার চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং একে ‘বেপরোয়া ও অস্থিতিশীলকারী’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেন।

পাকিস্তান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসবাদের কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছে এবং এই ধরনের সহিংসতার ফলাফল ও বেদনা ভালো করেই বোঝে।’ বিবৃতিতে আবারও সংযম ও আঞ্চলিক শান্তির পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

খবর : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন