Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 11:27 am

হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসছেন বাইডেন-ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার হোয়াইট হাউজে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদিও ট্রাম্পের দল এখনও আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর প্রয়োজনীয় নথিপত্রে স্বাক্ষর করেনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রার্থী হওয়া বাইডেন পরে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। বাইডেন ট্রাম্পকে ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছেন। যা বিদায়ী প্রেসিডেন্টদের ঐতিহ্যগত সৌজন্য হলেও ট্রাম্প ২০২০ সালে বাইডেনের জন্য তা করেননি।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জঁ-পিয়ের বলেছেন, বাইডেন আমাদের প্রতিষ্ঠান, ক্ষমতা হস্তান্তরের শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়াকে সম্মান করেন। এটাই প্রথাগত। এভাবেই হওয়ার কথা।

বাইডেন ও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। বাইডেন ৮১ বছর বয়সে ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অন্যদিকে ৭৮ বছরের ট্রাম্প বাইডেনকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির ভিত্তিহীন দাবি তুলেছিলেন, যা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত।

ট্রাম্প বুধবার সকালে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ইলন মাস্কের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এরপর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বাইডেনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হবে।

যদিও বাইডেন এই বৈঠকটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। তবে ট্রাম্পের দল এখনও সম্পূর্ণভাবে হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন করেনি। এর ফলে সরকারি দফতরের স্থান, সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হচ্ছে বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।

ট্রাম্পের হস্তান্তর দলের মুখপাত্র ব্রায়ান ভ্যান্স বলেছেন, আইনজীবীরা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টিয়াল ট্রানজিশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এসব চুক্তি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব নয়।

বৈঠকের আলোচনায় বাইডেনের পক্ষে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি উঠে আসতে পারে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে কিয়েভকে সহায়তার বিষয়ে মার্কিন অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করেছেন। তবে কীভাবে তা করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।