Print Date & Time : 21 April 2025 Monday 10:54 am

হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন প্রধান নিয়ে যা জানা গেলো

ডেস্ক রিপোর্ট: টানা ৩২ বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার মৃত্যুর পর থেকে গোষ্ঠীটির সম্ভাব্য নতুন নেতা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনায় বার বার গোষ্ঠীটির নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হাসেম সাফিয়েদ্দিনের নাম ওঠে এসেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসেম সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান এবং গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই গোষ্ঠীল সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী জিহাদ কাউন্সিলের সদস্যও তিনি।

সম্পর্কে হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই হাসেম সাফিয়েদ্দিন তার মতেই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনিও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন।

২০১৭ সালে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত জুনে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। সাফিয়েদ্দিন তখন বলেছিলেন, ‘শত্রুকে কান্না ও বিলাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলো।’

প্রায়ই দেশের জনতার উদ্দেশে বিবৃতি দেন হাসেম সাফিয়েদ্দিন। তার বক্তব্যে হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের বিষয়গুলো ওঠে আসে।

সম্প্রতি বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়েহ উপশহরে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস, আমাদের বন্দুক ও আমাদের রকেট সবই তোমাদের সঙ্গে আছে।’

লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া এই গোষ্ঠীর গবেষক ফিলিপ স্মিথ বলেন, হিজবুল্লাহর বিভিন্ন কাউন্সিলে সাফিয়েদ্দিনের জন্য বিভিন্ন পদ তৈরি করা শুরু করেছিলেন হাসান নাসরাল্লাহ, যার মধ্যে কিছু পদ ছিল অন্যদের চেয়েও বেশি গোপনীয়। তারা তাকে আনা-নেয়া করতো ও জনসমক্ষে কথা বলতে পাঠাতো।

নাসরাল্লাহর সঙ্গে হাসেম সাফিয়েদ্দিনের পারিবারিক সম্পর্ক ও শারীরিক সাদৃশ্য থাকায় এবং তিনিও মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হওয়ায় হিজবুল্লাহর হাল ধরা তার পক্ষে সহজ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন নীতির সমালোচনার বিষয়েও বেশ সোচ্চার হাসেম সাফিয়েদ্দিন। হিজবুল্লাহর ওপর আমেরিকান চাপের প্রতিক্রিয়ায় ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মানসিকভাবে বিকৃত ও পাগল মার্কিন প্রশাসন প্রতিরোধ আন্দোলনের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।’ বরং তাদের পদক্ষেপ শুধু হিজবুল্লাহর সংকল্পকে আরও দৃঢ়ই করবে।