ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে দোহা ছাড়ার নির্দেশ দিতে কাতার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আর স্বাগত জানাবে না বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার হিব্রু ভাষার ক্যান নিউজ এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমটি জানায়, কাতার কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তটি সম্প্রতি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে জানিয়ে দিয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রিপাবলিকান সিনেটর বাইডেন প্রশাসনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে কাতারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়।
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস এবং পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির সদস্য রজার উইকার এবং জিম রিশের নেতৃত্বে ১২ জন সিনেটর ওই চিঠিতে বলেন, কাতারে অবস্থানরত হামাস কর্মকর্তাদের সম্পদ জব্দ করা এবং হামাসের নেতা খালেদ মেশালকে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘হামাসকে পরাজিত করা সম্ভব এবং বিদেশে তাদের নিরাপদ আশ্রয় বন্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।
উল্লেখ্য, কাতার গত কয়েক মাস ধরেই হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর ইসরাইলি এক কর্মকর্তা কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য দেখা করেন।
ওই আলোচনায় ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসও অংশ নেন।
এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও গত মাসে আল থানির সঙ্গে বৈঠক করে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্ত করার প্রচেষ্টায় কাতারের ‘অপরিহার্য’ ভূমিকার ওপর জোর দেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় লাগাতার ইসরাইলি হামলার অংশ হিসেবে শনিবার ভোর থেকেই গাজার উত্তর ও দক্ষিণে হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যাদের মধ্যে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করা দক্ষিণ আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ নিয়ে গাজায় গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরাইলের গণহত্যায় ৪৩,৫৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০২,৭৬৫ জন আহত হয়েছে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি

Discussion about this post