ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বব্যাপী শক্তির বাজারে আরও এগিয়ে গেল সৌদি আরব। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান ঘোষণা দিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং আর রুব আল খালি (এম্পটি কোয়ার্টার) অঞ্চলে নতুন ১৪টি তেল ও গ্যাসের খনি আবিষ্কার করেছে। এ আবিষ্কার শুধু সৌদি আরবের শক্তি খাতের জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক শক্তি নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। খবর সৌদি গ্যাজেটের।
এ নতুন আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে। ৬টি নতুন তেলের খনি, ২টি তেলের রিজার্ভার, ২টি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র, ৪টি গ্যাস রিজার্ভার।
প্রিন্স আব্দুল আজিজ বলেন, জাবু এলাকায় আবিষ্কৃত নতুন তেল খনিটি বেশ আশাব্যঞ্জক। এখানে জাবু-১ কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ব্যারেল হালকা অ্যারাবিয়ান ক্রুড তেল উৎপাদিত হচ্ছে, যা সৌদি আরবের তেল উৎপাদনকে আরও বেগবান করবে। সায়াহিদ খনি থেকেও সায়াহিদ-২ কূপ থেকে প্রতিদিন ৬৩০ ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব।
জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, আইফান-২ কূপ থেকে প্রতিদিন ২,৮৪০ ব্যারেল তেল এবং প্রায় ০.৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। এই নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের মাধ্যমে সৌদি আরব তার শক্তি রিজার্ভ আরও বর্ধিত করবে, যা বিশ্বজুড়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
গিজলান ক্ষেত্র এবং আরাম খনির থেকে গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ আরও বেশি। গিজলান-১ কূপ থেকে প্রতিদিন ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং ২,৫২৫ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে, আরাম-১ কূপ থেকে প্রতিদিন ২৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং ৩,০০০ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হচ্ছে।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান এই আবিষ্কারগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেছেন, এই খনি আমাদের দেশের জ্বালানি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। এটি আমাদের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই নতুন খনি আবিষ্কার সৌদি আরবের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। দেশটির শক্তি খাতের উন্নয়ন শুধু দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে, বরং আন্তর্জাতিক শক্তির বাজারে সৌদি আরবের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে। আন্তর্জাতিক বাজারে শক্তির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই আবিষ্কার বড় ভূমিকা রাখবে।