ডেস্ক রিপোর্ট: প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম সংসদীয় ভোট। রোববার (৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে গণপরিষদে এই নির্বাচন শুরু হয়েছে।
সিরিয়ার সুপ্রিম কমিটি ফর পিপলস অ্যাসেম্বলি ইলেকশনের প্রধান মোহাম্মদ আল-আহমাদ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দামেস্ক এবং কিছু প্রদেশের প্রধান শহরগুলোতে ভোটদান বেড়েছে। দামেস্কের গ্রামীণ অঞ্চল এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। সিরিয়ার জনগণ গণপরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের প্রথম বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করতে পেরে গর্বিত।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে দামেস্কের জাতীয় গ্রন্থাগার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছেন।
সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি সানা অনুসারে, পিপলস অ্যাসেম্বলির ২১০টি আসনের জন্য ১ হাজার ৫৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নারী প্রার্থী রয়েছেন।
২১০ আসনের এক-তৃতীয়াংশ আসনের জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে নিযুক্ত হবেন। বাকি দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিটি জেলার মনোনীত ‘নির্বাচনী সংস্থা’র মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য জাতীয় গ্রন্থাগার কেন্দ্রে কূটনৈতিক মিশনের পর্যবেক্ষক এবং স্বীকৃত কিছু রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী কমিটির মুখপাত্র নাওয়ার নাজমা বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকল যোগ্য ভোটারের সুবিধার্থে তা স্থানীয় বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
তিনি বলেন, সোমবার বা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার নেতা আসাদ গত ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। জানুয়ারিতে শারার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়।