ডেস্ক রিপোর্ট: অনেকেই আছেন সামান্য ধুলা লাগলেই হাঁচি এসে যায়। এটি একটি সাধারণ সমস্যা। কমবেশি সবারই হয়ে থাকে। কিন্তু এটি একটা সময় বড় সমস্যা রূপ ধারণ করে থাকে। কারণ এটি সাধারণত ধুলাবালি অ্যালার্জি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস নামে পরিচিত। এটি রোগ সৃষ্টির নমুনা।
হাঁচি আমাদের শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া, যা নাকের ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত কণা বা অ্যালার্জেন ঢুকলে সেটি বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে যখন এ প্রতিক্রিয়াটি অতিমাত্রায় হতে থাকে, তখন তা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
ধুলাবালিতে থাকা কিছু অদৃশ্য উপাদান, যেমন— ধূলিকণার ছোট ছোট অণু, ডাস্ট মাইট (ধুলার জীবাণু), ছাঁচ বা ফাঙ্গাশের স্পোর, পোষা প্রাণীর লোম বা ত্বকের কণা— এসব উপাদান অনেকের শরীরের ইমিউন সিস্টেমের কাছে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়। ফলে শরীর প্রতিক্রিয়া হিসেবে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ চুলকানো উপসর্গ তৈরি করে।
এ সময় আপনার যা করণীয়—
প্রথমে ঘর পরিষ্কার করুন। নিজের বাসস্থানকে ধুলামুক্ত রাখুন। প্রতিদিন ধুলা ঝাড়ুন ভেজা কাপড় কিংবা মপ দিয়ে। কার্পেট, পর্দা ও বিছানার চাদর নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন। এরপর বালিশ ও তোশকে অ্যান্টি-অ্যালার্জেন কাভার ব্যবহার করুন।
দ্বিতীয়ত মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘর পরিষ্কার করার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। N95 বা অ্যান্টি-পলিউশন মাস্ক বেশি কার্যকর।
আর এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ রাখতে HEPA ফিল্টারযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করলে ধূলিকণা অনেকাংশে কমে যায়। সেই সঙ্গে নাক ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নাক ধোয়ার জন্য নরমাল স্যালাইন বা নেটি পট ব্যবহার করলে খুব ভালো হয়। এটি নাকের ভেতরের অ্যালার্জেন দূর করে থাকে।
আর যদি সমস্যা নিয়মিত হয়, তবে একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা অ্যালার্জি প্রতিরোধী ওষুধ সেবন করুন। কারণ ধুলাবালি অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে একে উপেক্ষা করলে তা সাইনোসাইটিস কিংবা হাঁপানির মতো জটিলতায় রূপ নিতে পারে। তাই সচেতনতা ও প্রতিদিনের কিছু যত্নই হতে পারে আপনার হাঁচির সমাধান।