ডেস্ক রিপোর্ট: সীমান্ত সংঘাত নিরসনে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। রোববার থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।
থাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখপাত্র জিরায়ু হুয়াংসাপ জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে আঞ্চলিক শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ভেচায়াচাই সোমবারের বৈঠকে অংশ নেবেন।
মুখপাত্র আরও জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতও বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
এর আগে শনিবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে জানান, তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংঘাত অব্যাহত থাকলে তিনি দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নেবেন না বলে সতর্ক করেছেন। পরে তিনি জানান, উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, তার দেশ তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে। থাইল্যান্ডও আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে- ট্রাম্প এমন তথ্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখনকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে সমন্বয় করতে এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কম্বোডিয়ার কাছ থেকে সত্যিকারের সদিচ্ছার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফুমথাম দ্রুত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা যায়।
উল্লেখ্য, চতুর্থ দিনে গড়ানো এই সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জন নিহত এবং এক লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Discussion about this post