ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেসিডেন্সি ক্ষমতার আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। তার কার্যকালীন শেষ দিকে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।
এ সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, শেফ জোসে আন্দ্রেস, অভিনেতা মাইকেল জে ফক্স এবং সংরক্ষণবাদী জেন গুডালকে এবার পুরস্কৃত করা হয়।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন। এরপর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন।
বাইডেন এদিন আরও যাদেরকে দেশটির সর্বোচ্চ এই বেসামরিক সম্মাননা দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- মানবতাবাদী ও ইউ-২ গায়ক বোনো, ফ্যাশন ডিজাইনার র্যালফ লরেন, ‘সায়েন্স গাই’ বিল নাই, অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন, বাস্কেটবল তারকা আর্ভিন ‘ম্যাজিক’ জনসন এবং ভোগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আনা উইনটুর।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন টিম গিল (এলজিবিটিকিউ অধিকারকর্মী), ডেভিড রুবেনস্টেইন (উদার দাতা এবং দ্য কার্লাইল গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা) এবং জর্জ স্টিভেন্স জুনিয়র (লেখক ও পরিচালক এবং আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা)।
আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি (যিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না), তিনিও এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান, সময়সূচি জটিলতার কারণে আর্জেন্টাইন তারকা এতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এছাড়া বিনিয়োগকারী ও দাতা জর্জ সোরোসও এই পুরস্কার পান। তার ছেলে অ্যালেক্স তার হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
বাইডেন মরণোত্তর এই মেডেল প্রদান করেন সিভিল রাইটস কর্মী ফ্যানি লু হ্যামার, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি এবং মিশিগানের সাবেক গভর্নর ও হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি জর্জ রোমনিকে। মিট রোমনি তার পিতার পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রতিটি ব্যক্তিই অসাধারণ এবং আমেরিকার সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া হিলারি ক্লিনটন এ সময় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা পান। তিনি বাইডেনের পুনর্নির্বাচন প্রচারণার সমর্থক ছিলেন।
ব্যাক টু দ্য ফিউচার সিনেমা এবং ফ্যামিলি টাইস ও স্পিন সিটি টেলিভিশন শোতে নিজের অন্যন্য ভূমিকার জন্য পরিচিত মাইকেল জে ফক্স বর্তমানে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত। তিনি হুইলচেয়ারে করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। তবে সহায়তার মাধ্যমে দাঁড়িয়েই মেডেল গ্রহণ করেন।
জোসে আন্দ্রেস, যিনি ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামক দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, বিভিন্ন সংকটপূর্ণ অঞ্চলে মানুষদের খাবার সরবরাহ করেছেন। তিনি পুরস্কার গ্রহণের সময় আবেগে আপ্লুত হন।
এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রতি বাইডেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের কাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post