Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 3:23 am

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউজ। সোমবার (১২ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে কেউ কেউ।

আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে – সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অভিযোগ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মন্তব্য কি? এ বিষয়ে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টার জানতে চাইলে কারিন জাঁ-পিয়েরে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’

রয়টার্স জানিয়েছে, গত রবিবার ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। পত্রিকাটির দাবি, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য রবিবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, শেখ হাসিনা কখনোই এ ধরনের কোনও বক্তব্য দেননি।

হোয়াইট হাউস আরও বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি- বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণেরই নির্ধারণ করা উচিত এবং আমরা সেটিকেই সমর্থন করি।’

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের সামনে সমাবেশ হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো। এর বেশি আমার বলার কিছু নেই। তবে যখনই মানবাধিকার ইস্যু চলে আসে – তখন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে এবং গোপনে পরিস্কারভাবে কথা বলেন। এখন এরকম কিছু নেই। তিনি (প্রেসিডেন্ট) এই কাজ করতে থাকবেন, কিন্তু এই মুহূর্তে বলার মতো কিছু নেই।’