সাবেক শিক্ষামন্ত্রী। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। জন্ম কিশোরগঞ্জে। বাবা শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ ওসমান গণি। মা বেগম শামসুন নাহার গনি, গৃহিণী। ওসমান ফারুকের লেখাপড়ার শুরু সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলে। ইন্টারমিডিয়েট ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউএসএআইডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্র-টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি থেকে এগ্রিকালচার ইকোনমিকসে এমএস এবং lvy League School, the cornell University in Ithaca, New York থেকে এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. ওসমান ফারুক ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কো-অপারেশন অ্যান্ড মাকের্টিং বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার প্রতিবেদক মিজানুর রহমান হেলাল-এর সঙ্গে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়লে এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্য শুনলেই মোটামুটিভাবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। রাজনীতিতে সম্পূর্ণভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। জনগণের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় রাজনীতিতে এ অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করার সুবাদে দেখেছি, মানুষের মাঝে এক ধরনের অসন্তুষ্টি রয়েছে। দেশের বাইরেও একই অবস্থা। মার্কিন সিনেটের সদস্য মিস বার্নিক্যাট, যিনি বাংলাদেশের পরবর্তী আমেরিকান রাষ্ট্রদূত হতে চলেছেন, তিনিও বলেছেন, বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনকি জার্মানি বলেছে, এ নির্বাচন ছিল প্রহসনমাত্র। সরকার এসব মন্তব্য ধর্তব্যে নেয়নি। সরকার সবকিছুকেই নেতিবাচকভাবে দেখছে। জোর করে সাময়িকভাবে এ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধান নয়। এভাবে খুব বেশি দিন চলতে পারে না। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এমনকি তাদের হত্যা করা হতে পারে বলেও মন্তব্য করছেন। এতে মনে হচ্ছে, তাদের নিজেদের মধ্যেই এক ধরনের অনিশ্চয়তা-সংশয় বিরাজ করছে। জনগণের সমর্থন না থাকলে একটি সরকার এ ধরনের কথাই বলে। সরকার বলছে, ৪০ শতাংশ ভোট তাদের পক্ষে গেছে, কিন্তু জনগণ জানে কত শতাংশ ভোট তারা পেয়েছেন।
দেশের ভাবমূর্তি একেবারেই নেই। কোনো দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয় এবং সেই বৈঠকের যাবতীয় বিষয় সঠিকভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয় না, তখন প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, দেশে আইনের শাসন নেই। এর পর আর দেশের ভাবমূর্তি থাকে না। বিদেশের সরকারগুলো জানে, সরকার একটি অগ্রহণযোগ্য পন্থায় ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু তারা একে স্বাগত জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। এটা তো আর ইরাক, আফগানিস্তান কিংবা ভিয়েতনাম নয় যে, বাইরের একটি দেশ এসে জোর করে আরেকটি সরকারকে বসিয়ে দেবে। জনগণই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। এমনকি রাজনৈতিক যে সংকট বিরাজ করছে, জনগণ তারও সমাধান করবে। সরকার বলছে, বিএনপি বিদেশী সরকারের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু একটু ভালোভাবে দেখলে দেখা যাবে, সরকার নিজেই বিদেশী একটি দেশের সরকারের সমর্থনপুষ্ট। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে কিছু দেশ এ সরকারকে সমর্থন করছে বটে। যেমন— পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য চীন, জাপান এমনকি মালয়েশিয়া এ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ রকম অনেকেই বাণিজ্যিক কারণে সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ বজায় রেখে চলছে। তবে রাজনৈতিকভাবে তাদের সমর্থন নেই। বিশ্বে মাত্র দুই থেকে তিনটি দেশের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সম্পর্ক আছে। বাকিগুলোর অবস্থা শোচনীয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছিলেন, ঈদের পর সরকার পতন আন্দোলন শুরু করবেন। এখনো বড় কোনো কর্মসূচি আপনারা ঘোষণা করতে পারেননি কেন?
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কালো পতাকা মিছিল হয়েছে, ঢাকায় মিছিল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যখন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি তখন সরকার বলছে, আমাদের আন্দোলন করার মতো যোগ্যতা নেই। আবার রাস্তায় আন্দোলন করলে বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি আইনশৃঙ্খলা মেনেই আন্দোলন করছে।
এভাবে কি পরিবর্তন আসবে?
সরকার পতন কখন হবে তা সময় বলে দেবে। এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল আন্দোলনের দুইদিনের মাথায়। সেক্ষেত্রে আগে থেকে কিছু বলা ঠিক হবে না। সরকার যদি আমাদের আন্দোলন রুখতে তার প্রশাসন যন্ত্র অর্থাত্ পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী ব্যবহার করে, তাহলে আন্দোলন আরো জোরালো হবে।
বর্তমান সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক মন্ত্রী বলছেন, তারা পুরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এ কথা বলে তারা আহাম্মকের পরিচয় দিয়েছেন। এতে তাদের অপরাধবোধ প্রকাশ পেয়েছে। ভেতরকার দুর্বলতাকে নিজেরাই স্পষ্টভাবে তুলে ধরছেন। তারা একটি নির্বাচন নিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে আরেকটি নির্বাচনের কথা বলছেন কীভাবে। সরকার জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন, সেটাও প্রকাশ পেয়েছে নগ্নভাবে। এভাবে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যাবে না। সরকার যে প্রশাসন ব্যবহার করে গত পাঁচ বছর টিকে ছিল এবং এখনো টিকে আছে, সেই প্রশাসনে যারা কাজ করছেন, তারা এ দেশের সন্তান। তাদের বোধোদয় হবে অচিরেই। তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, এভাবে অনৈতিকভাবে একটি অনির্বাচিত সরকারকে টিকিয়ে রাখার কোনো অর্থ নেই।
এক্ষেত্রে বিকল্প আর কোনো পথ খোলা আছে কী?
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। আমরা সবসময় মনে করি, গণতান্ত্রিক উপায়েই এ সরকারের পতন হবে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখতে চাই, নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে অনেকেই বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা জয়লাভ করত। কিন্তু বিএনপি কখনই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করেনি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলনের অভ্যাস আছে, যে কারণে তারা এরশাদের মতো স্বৈরশাসকের সঙ্গে আঁতাত করছে। বিএনপি কখনই অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা পেতে চায়নি। বিএনপি আন্দোলন করছে একটি আদর্শের জন্য। সেটি হলো গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়। আমাদের দল চায় গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচন, যেখানে সব দল ও নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। যেখানে প্রশাসন যন্ত্র কোনোভাবেই বিশেষ কোনো গোষ্ঠীকে সুবিধা দেবে না এবং ক্ষমতা দখলের নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় এবারো বিদেশী শক্তির সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষমতায় এসেছে তারা।
দেশের অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে এবং ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারণ কী বলে মনে করছেন?
মূল কারণ সরকারের শাসন ব্যবস্থার দুর্বলতা। অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের দুর্বলতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি আমাদের দেশের অর্থনীতিকে একেবারেই দেউলিয়া করেছে। হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর ঘাম ঝরানো টাকা বাজার থেকে গায়েব করে দেয়া হয়েছে। অনেকেই এতে পথে বসেছেন। অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন। সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারি তো আছেই। এর বিচার আজ পর্যন্ত সরকার করতে পারেনি, যা কিনা তাদের ব্যর্থতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের দিকে তাকালে দেখা যাবে দলীয় লোকদের দৌরাত্ম্য। তারা ঋণ দিচ্ছেন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই। এমনকি তারা অনেক সময় সত্ ব্যবসায়ীদের ঋণ না দিয়ে দলীয় লোকদের ঋণ দিচ্ছেন, যাদের অভিজ্ঞতা এমনকি সঠিক কোনো কাগজপত্রও নেই। সরকারের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন থেকে দাতা সংস্থাগুলো সরে গেছে।
বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাত সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতে শুধু অর্থের অপচয় হয়েছে, যা আগে কখনই হয়নি। সরকার লুটপাটের জন্য কুইক রেন্টালের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অপচয়কে শুধু বাড়াবে, কমাবে না। সরকারের পদক্ষেপ শুরু থেকেই ভুল ছিল। কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ প্রকল্পের পাশাপাশি দেশে স্থায়ী বিদ্যুেকন্দ্র গড়ে তোলা উচিত ছিল, যা তারা করেনি। এমনকি তারা তরল জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করেছে, যা ব্যয়বহুল হিসেবে সমাদৃত। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিদ্যুত্ খাত নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বারবার দেখানো হয়েছে অপচয় হচ্ছে এবং তার ভার বইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংস্কৃতি চলছে, তা নিয়ে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন। আপনি কী মনে করছেন?
বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনীতিতে অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। বাকি আছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি সর্বশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে আরো পিছিয়ে পড়েছে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধান নিয়ামক ধরা যেতে পারে। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানের কারণে দেশের রাজনীতিতে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অথচ সরকার তথা আওয়ামী লীগ সমঝোতা করতে চায় না। বিএনপির প্রতি তাদের আচরণ একটি জঙ্গি দলের সঙ্গে আচরণের শামিল। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চান। সে কারণে তাদের মন্ত্রীরা বাজেভাবে বিএনপি সম্পর্কে মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। তারা নিজেদের সব মামলা তুলে নিলেও বিএনপির ওপর মিথ্যা মামলার বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন। নেতাদের বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। জেলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার পরও আমি আশা করছি, জনগণ এ অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করবে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি চর্চা করার অধিকার আছে। বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো বৃহত্ দুটি দল যদি কোনো সমাধানে না আসে, তাহলে সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে না। সেক্ষেত্রে সরকারকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদেরকে বলতে হবে, তারা সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায়। এতে সমস্যার সমাধান হবে অনেকাংশেই। যেমনটি ১৯৯৫ সালে বেগম খালেদা জিয়া করেছিলেন। একটি নির্বাচনের তিন সপ্তাহের মধ্যেই আরেকটি স্বচ্ছ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। দেশের স্বার্থে এগিয়ে এসেছিলেন। আজ সরকারকে ঠিক সেই পদক্ষেপটি নিতে হবে। সরকারকে তার নেতিবাচক মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়াকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করলে সমস্যার সমাধান হবে না। সমঝোতার সুযোগ এখনো আছে।
সরকার নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে, কিন্তু আপনারা কোনো চাপ প্রয়োগ করতে পারছেন না। তাহলে সরকার কেন আলোচনা করবে?
আমরা চাপ প্রয়োগ করছি। সরকার সম্প্রতি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুধু ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা ও মন্ত্রীরা ছাড়া কেউ এ আইনের পক্ষে নেই। তারা বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের ওপর অর্পণ করতে যাচ্ছেন। যে সংসদ প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে কীভাবে এ সিদ্ধান্ত হতে পারে? এখানে আমেরিকা ও ব্রিটেনের উদাহরণ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সংসদের সঙ্গে আমেরিকা আর ব্রিটেনের সংসদের মিল কোথায়? আইনগুলো অনেক দ্রুত এবং একই সঙ্গে করা হচ্ছে। কেন? তাদের দুর্বলতাকে যেন কেউ প্রশ্ন করতে না পারে সেজন্য সরকার তাড়াহুড়ো করে এসব আইন প্রণয়ন করছে।
আমি মনে করি, সব সমস্যার সমাধান হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। যেখানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরে যখন সবকিছু নাগালের বাইরে চলে যাবে এবং কিছুই করার থাকবে না তখন আফসোস করে লাভ হবে না। জনগণ কখনই অনৈতিক কিছু মেনে নেবে না। তারা আগেও মেনে নেয়নি। আমরা এরশাদ সরকারের পতন দেখেছি। সুতরাং লজ্জাজনকভাবে বিদায়ের আগে সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সুত্র: দৈনিক বণিক বার্তা | ২০১৪-০৯-১০ ইং
অনুলিখন: মুহাম্মাদ হাসান রাহফি
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post