ডেস্ক রিপোর্ট: লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করেছে, লেবাননের পক্ষ থেকে চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী রবিবার সেনা প্রত্যাহারের আগে সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের আইতারুন শহরে ঘরবাড়ি ধ্বংস করে, কান্তারা শহরের একটি মসজিদে আঘাত হানে এবং রাব থালাথিনে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটায়।
ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময়সীমা অতিক্রম করেও সেনা অবস্থান বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে। এর পেছনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণে ধীরগতিতে মোতায়েন হওয়ায় হিজবুল্লাহ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
নভেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী লেবানন ছাড়বে এবং হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যাবে। চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা ছিল ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
হিব্রু সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা বেনি গান্তজ বলেন, হিজবুল্লাহর যেকোনও চুক্তি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে, তা ছোট হোক বা বড়, সামরিক অভিযান আরও তীব্র করা উচিত।
জাতিসংঘের এক সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অংশ থেকে সরে গেলেও পূর্বাঞ্চলে কিছু অবস্থান ধরে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে ফিরে আসা বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা দেখে হতবাক হয়েছেন।
লেবাননের সৈকতবর্তী নাকৌরা শহরে ফিরে না আসার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনী প্রস্থানের সময় শহরটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।