Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 9:21 am

লিফটের ভেতরে আয়না কেন থাকে

ডেস্ক রিপোর্ট: অফিসে মিটিং আছে কিংবা সেজেগুজে পার্টিতে যাচ্ছেন, লিফটে উঠে একটু আয়না দেখে নিজেকে আরেকবার ঠিকঠাক করে নেন অনেকেই। কিন্তু তাই বলে যদি ভাবেন লিফটে আয়না শুধু ড্রেসিংটেবিলের কাজ সারে তবে সেটি হবে আপনার ভুল ধারণা। লিফটে আয়না রাখার পেছনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।

জাপানের লিফট অ্যাসোসিয়েশন লিফটের ভেতরে আয়না লাগানো বাধ্যতামূলক জানিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এটি সাজসজ্জার জন্য নয়, বরং যাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। জেনে নিন কারণগুলো-

আয়না কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে জেনে নিন তার কারণগুলো-

১. লিফটের ভেতরে অনেকেই ‘ক্লাস্ট্রোফোবিয়া’ অনুভব করেন। ক্লাস্ট্রোফোবিয়া হলো ছোট ও সংকীর্ণ জায়গার ভয়। লিফটে প্রবেশের সময় মানুষ অনেক সময় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্টের অনুভব হয় এবং দ্রুত শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি পায় ফলে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আয়না অনেক সাহায্য করতে পারে। সাধারণত, আয়না একটি ছোট জায়গাকে প্রশস্ত দেখায় বলে জানা যায়। যা শ্বাসরোধের অনুভূতি কমিয়ে দেয়।

২. আয়না লাগানোর আরো একটি কারণ হলো ভেতরে থাকা লোকজনকে বিভ্রান্ত করা। সাধারণত বহুতল ভবনে লিফট স্থাপন করা হয়। যার অর্থ হলো লিফটে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হবে। আয়না লাগানোর ফলে লিফটের যাত্রীরা নিজেদের দেখবেন, পোশাক ঠিক করবেন এবং নানা কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারবেন। ফলে লিফটের ছোট জায়গায় মনকে ব্যস্ত রাখা সহজ হয়।

৩. লিফটে আয়না থাকা অপরিহার্য হওয়ার আরো একটি কারণ হলো নিরাপত্তা। ইন্টারনেটে অনেক ভিডিও আছে, যেখানে লিফটের ভেতরে অপরাধ ঘটতে দেখা গেছে। আয়না থাকলে যে কেউ লিফটের ভেতরে থাকা সবার ওপর নজর রাখতে পারেন। এর ফলে যেকোনো দুর্ঘটনা রোধ করা যেতে পারে।

৪. আয়না থাকলে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদেরও খুব সাহায্য হয়। লিফটের ভেতরে এগিয়ে আসতে বা পিছিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে, আয়না দেখে খুব সহজেই তারা পিছনে কতটা জায়গা আছে তা বুঝতে পারেন। যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের দিকে নজর রাখাও সম্ভব হয়।

৫. যাদের অফিস বহুতলের উপরে, অনেকটা সময় তাদের লিফটে কাটাতে হয়। সেই সময়টা যদিও এমন বেশি কিছু নয়। তা সত্ত্বেও ওই সময়টুকুই তাদের কাছে লিফটে থাকাটা বিরক্তির হয়ে দাড়ায়। কারণ ভিতরে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর করার কিছুই থাকে না। আর এই একঘেয়েমি কাটাতে আয়নার তুলনা হয় না। নিজেকে দেখতে দেখতেই কখন যে গন্তব্য ফ্লোরে পৌঁছে যাবেন বুঝতেই পারবেন না।