ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের সামরিক অনুপ্রবেশ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি ‘উভয় সংকট’। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) একটি ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের এই পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছেন বলেও জানান তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
৬ আগস্ট ভোরে প্রায় এক হাজার সেনা, ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে রাশিয়ার সীমান্ত দিয়ে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তিনি মনে করছেন রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করতেই কুরস্কে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। কেননা, সীমান্তে আকস্মিক এই আন্তঃসীমান্ত হামলা থেকে রুশ ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে অবিলম্বে অতিরিক্ত সেনা প্রয়োজন হবে রাশিয়ার।
নিউ অরলিন্সে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, রুশ সীমান্তে ইউক্রেনের কর্মকাণ্ড নিয়ে গত ছয় থেকে আট দিন ধরে প্রতি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর পর তাকে ব্রিফ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের এই অভিযান নিয়ে প্রথম ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, সীমান্তের অভ্যন্তরে ইউক্রেনের এই হামলা, ‘পুতিনের জন্য একটি সত্যিকারের উভয় সংকট তৈরি করছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য এই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
তবে মে মাসে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আগাত হানার জন্য মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিলেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশের বিষয়ে আগাম কোনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি ইউক্রেন।
এদিকে, ইউক্রেনের হামলার জবাবে কুরস্কে মঙ্গলবার পাল্টা হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এসময় ইউক্রেনীয় সেনাদের লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিমান হামলা চালায় তারা।