ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ককে রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় মাস্ককে নিয়ে স্মৃতিচারণও করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, একবার স্পেসএক্স রকেটের একটি ভিডিও দেখার সময় তিনি মাস্ককে ৪০ মিনিটের জন্য আটকে রেখেছিলেন।
এছাড়া মাস্ককে ‘বিস্ময়কর’ ব্যক্তি হিসেবেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের রাতটি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, মার-এ লাগো রিসোর্টে ট্রাম্পের সঙ্গেই নির্বাচনের রাতটি কাটাতে চান তিনি।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের হয়ে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাজার হাজার সমর্থকের জন্য ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে পাম বিচ কনভেনশন সেন্টারে ওয়াচ পার্টির (অনেক মানুষ মিলে একসঙ্গে ফলাফল দেখা) আয়োজন করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানান ইলন মাস্ক। মঙ্গলবার মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে এ ধনকুবের লিখেছেন, তিনি টেক্সাসের ক্যামেরুন কাউন্টিতে ভোট দিয়েছেন। সেখানে মাস্কের কয়েকটি কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত। পরে ফ্লোরিডার উদ্দেশে রওনা করেন মাস্ক।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তার এসব পোস্ট ২০০ কোটিবার দেখেছেন ব্যবহারকারীরা।
অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইটের এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ খবর জানিয়েছে।
নির্বাচন ও গুজব নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা সোমবার বলেছেন, চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঙ্গরাজ্যগুলো নিয়েও গুজব ছড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে এক্স। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে এই রাজ্যগুলোর সমর্থন।
এক্স কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।