ডেস্ক রিপোর্ট: সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় এক চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেইন উভয় দেশ ৯৫ জন করে যুদ্ধবন্দিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেলারুশে রাশিয়ার ফিরে আসা সেনা সদস্যদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেইন যুদ্ধে বেলারুশ রাশিয়ার মিত্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের অন্ধকারের মধ্যে কিছু মানুষ একটি বাস থেকে নামছেন ও প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করছেন, তাদের কারও কারও শরীরে ইউক্রেইনের পতাকা জড়ানো।
রুশ সামরিক বাহিনীর একটি ভিডিওতে হাস্যোজ্জ্বল সেনাদের বাসে উঠতে দেখা গেছে।
জেলেনস্কি লিখেছেন, “প্রত্যেকবার ইউক্রেইন তার লোকজনকে রাশিয়ার বন্দি শিবির থেকে দেশে ফিরিয়ে আনে আর আমরা সেই দিনের কাছাকাছি হই যখন রাশিয়ার বন্দিদশায় থাকা সবাই স্বাধীন হবে।”
ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ইউক্রেইনের সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইনজীবী মাকসিম বুটকেভিচ রয়েছেন। রয়টার্স জানায়, তাকে রুশ বাহিনীকে গুলি করার দায়ে রাশিয়ার একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
যুদ্ধবন্দিদের বিষয়গুলো সমন্বয়কারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ফেরত আসাদের মধ্যে ৪৮ জনকে রাশিয়ার আদালত সাজা দিয়েছে।
ইউক্রেইনের পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮ দফায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মুক্তিপ্রাপ্ত মোট বন্দির সংখ্যা তিন হাজার ৭৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ইউক্রেইনীয় বাহিনী এখনও কুর্স্কে রয়ে গেছে; তবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনীগুলো দখলকৃত কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, এই নিয়ে নবমবারের মতো ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করলো তারা।
যুদ্ধে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন হিসাবে বর্ণনা করেছে। উভয় দেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ও সহযোগিতার প্রতিফলন এটি।

Discussion about this post