Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 10:20 pm

রাশিয়ার সঙ্গে আপসের ইঙ্গিত জেলেনস্কির!

ডেস্ক রিপোর্ট: ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই জানা হয়ে গিয়েছিল ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ। ধারণা করা হচ্ছিল এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ায় জয়ী হবে। এবার সেই আভাসই মিলতে শুরু করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে আপসে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভালোদেমির জেলেনস্কি।

চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি তাড়াতাড়ি রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি চান। তবে এক্ষেত্রে তার শর্ত হচ্ছে— ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হতে হবে ইউক্রেনের। সেই সঙ্গে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিতের গ্যারান্টি দিতে হবে ন্যাটোকে। আর সেটি হলেই কেবল রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যাবে তারা। এক্ষেত্রে রাশিয়ার দখলে নেওয়া ভূখণ্ডের দাবি করতে না তারা।

চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে স্কাই নিউজের প্রধান প্রতিবেদক স্টুয়ার্ট রামসকে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটো যদি বর্তমানে ইউক্রেনের দখলে থাকা কিয়েভের নিয়ন্ত্রিত অংশের সুরক্ষা গ্যারান্টি দেয় তবে যুদ্ধের গরম পর্ব শেষ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার দখলে থাকা জমি ফেরত নিয়ে পরে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা হতে পারে।’ তার এমন কথা সোমবার জাপানি বার্তা সংস্থা কিয়োডো নিউজে ফের পুণর্ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি। যাতে পরিষ্কার রাশিয়ার সঙ্গে আপসে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি স্কাই নিউজকে তখন আরও জানান, ‘যদি আমরা যুদ্ধের উত্তপ্ত পর্ব বন্ধ করতে চাই, তাহলে আমাদের ইউক্রেনের যে ভূখণ্ড আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে তা ন্যাটোর ছত্রছায়ায় নিতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। এবং তারপর ইউক্রেনের অধিকৃত ভূখণ্ড পরবর্তীতে কূটনৈতিক উপায়ে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।’

তবে এক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতির পূর্বে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকেও একটি গ্যারান্টি চান যে- নতুন করে আর কোনো অঞ্চল দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে না রাশিয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে। এর মধ্যে ক্রিমিয়াও রয়েছে, যা রাশিয়া ২০১৪ সালে সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর নতুন করে দোনেস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়ার বিশাল অংশ দখল করেছে রাশিয়া।