ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণের জন্য উচ্চমাত্রার নির্ভুল মার্কিন গ্লাইড বোমা ব্যবহার করেছে তারা। এছাড়া রাশিয়ার দখলে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভের কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দাবিও করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেশুক বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে ইউক্রেনীয় সেনাদের যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা জিবিইউ-৩৯ বোমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। শুক্রবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
ভিডিওটিতে একাধিক বিস্ফোরণ এবং ঘটনাস্থলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে ভিডিওতে কুরস্কে রুশ বাহিনীকেও আঘাত হানতে দেখা যায়।
দেরিতে হলেও ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পেয়েছে কিয়েভ। এরপর এ মাস থেকেই হামলায় গতি পেয়েছে ইউক্রেন সেনারা। যার ফলে মাসের শুরুতেই রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্কে আক্রমণ শুরু করে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, পালটা-ড্রোন সরঞ্জাম, অ্যান্টি-আরমার মিসাইল এবং মোবাইল রকেট সিস্টেমসহ সামরিক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজও ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের আগে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমেরিকার অটুট সমর্থন প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের তৃতীয় অ্যাসল্ট ব্রিগেড বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলের প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা আবারও নিজেদের দখলে নিয়েছে। ব্রিগেড কমান্ডার আন্দ্রি বিলেতস্কি বলেছেন, তারা রুশ সেনাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের দখলে থাকা একটি এলাকা ও কয়েকটি শক্তিশালী ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তবে আক্রমণের সময় ও এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে রাশিয়ার কাছ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়া গত মে মাসে খারকিভ আক্রমণ শুরু করেছিল। তবে ওই অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের আগেই দোনেস্কে হামলা জোরদার করেছিল রুশ বাহিনী। আর রাশিয়ার খারকিভ দখলকে ইউক্রেনের হাতে সামরিক সহায়তা না থাকার লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল পশ্চিমারা।

Discussion about this post