ডেস্ক রিপোর্ট: দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজায় একটি নতুন সামরিক করিডোর গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। এই করিডোরটির নাম ‘মোরাগ করিডোর’।
করিডোরটির নাম ২০০৫ সালে উৎখাত হওয়া একটি অবৈধ ইহুদি বসতি ‘মোরাগ’-এর নামানুসারে রাখা হয়েছে। এই করিডোরটির কাজ শেষ হলে এটি রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।
গাজার মধ্যাঞ্চল দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি জানিয়েছেন, রাফাহ ও খান ইউনুসের মধ্যবর্তী এলাকায় ইসরাইলি সেনারা রাফাহকে পুরো গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় কেউ কাছাকাছি গেলেই ইসরাইলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের জন্য একমাত্র খোলা পথ হচ্ছে উপকূলীয় সড়কের ‘আল-রাশিদ করিডোর’।
সাংবাদিক হিন্দ খুদারি আরও বলেন, ‘এর অর্থ হচ্ছে- আরও বেশি ফিলিস্তিনিকে এখন খান ইউনুস ও দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আর ইসরাইল আরও বেশি পরিমাণে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। তাদের কাছে রাফাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি হলো কারেম আবু সালেম সীমান্ত ক্রসিং-এর প্রধান সড়ক। এই সড়কটিই গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল। আর এটিই মূলত রাফাহ দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাইরে যাওয়ার প্রধানতম পথ।
এদিকে আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে কেবল শনিবার রাতে চালানো ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ জন। এদের বেশিরভাগই গাজা সিটিতে প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় একজন বাবা ও তার মেয়ে নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে গাজার দক্ষিণ অঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।