ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের শর্ত জানিয়েছে মস্কো। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৃতীয় দফা শান্তি আলোচনা শেষে এ শর্ত জানান রাশিয়ার প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি’র খবরে বলা হয়েছে, বুধবার তুরস্কের ইস্তানবুলে আলোচনার এই রাউন্ড শেষ হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেদিনস্কি বলেন, ‘চুক্তি সইয়ের উপযোগী অবস্থা প্রস্তুত না হলে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অর্থহীন হবে। বৈঠকটি যেন কেবল চুক্তি সই করার জন্য হয়—এই অবস্থান আমরা ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।’
এর আগে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, চলমান অচলাবস্থা কাটাতে আগামী আগস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠক হওয়া উচিত।
তবে মেদিনস্কির মতে, ‘এ ধরনের বৈঠক তখনই যুক্তিযুক্ত হবে, যখন আমরা আলোচনার মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ চুক্তির বিষয়ে একমত হব। তখনই এজেন্ডা স্পষ্ট হবে। এই বৈঠক আলোচনার জন্য নয়, বরং চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আলোচনার প্রাথমিক অবস্থানে ফেরার জন্য শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের কোনো মানে হয় না।’
এ প্রসঙ্গে মেদিনস্কি ১৯৪০-এর দশকের চীনা গৃহযুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘চিয়াং কাই-শেক বারবার সরাসরি বৈঠকের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তারা পাঁচবার বৈঠক করেছেন, একে অপরকে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন, কিন্তু তাতে গৃহযুদ্ধ থামেনি। মূল সমস্যা থেকেই গেছে।’
এ বিষয়ে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক সম্ভব নয়। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তবে তিনি গত মাসে বলেছেন, আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি আছেন।