Print Date & Time : 11 July 2025 Friday 9:05 pm

যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা!

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের কথিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং নির্বিকারী হত্যার হুকুম দিয়েছিলেন। তবে পুলিশ বাহিনীর কাছে গোলা বারুদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাই এই গণহত্যা করে টিকে থাকা সম্ভব হয়নি শেখ হাসিনার। অবশেষে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এই কথিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।

তার ক্ষমতার এই লিপসার কারণে আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে। শেখ হাসিনার পরিবারের সকলকে হারিয়েছে ৭৫ এর ১৫ ই আগস্টে। এই মায়া কান্না কেঁদে কেঁদে মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে এই পতিত স্বৈরশাসক। তার ওই মায়া কান্নার নাটকে মন গলেনি বাংলাদেশের জনগণের। তাই এই খুনি হাসিনাকে হঠাতে বাংলাদেশের আপামর জনগণ সর্বশেষ মাঠে নেমে আসে।

শেষ সময়েও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং আরও রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রাণপণ বোঝাচ্ছিলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ কিন্তু মানতে নারাজ ছিলেন শেখ হাসিনা। বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। পদত্যাগ করতেও রাজি হননি। পরে পরিবারের সদস্যদের কথা মেনে পদত্যাগে রাজি হন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক হেলিকপ্টারে বোন রেহানাকে নিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।

জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার ও নির্বিচারে গুলি চালাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—এমনটাই উঠে এসেছে তার একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে বিবিসি আই। জনরোষের মুখে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের শাসক শেখ হাসিনার নিজ বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারে চেপে পলায়নের ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দৃশ্যত একটি ইস্পাতকঠিন শাসনব্যবস্থাও জনগণের শক্তির কাছে নাজুক হয়ে পড়তে পারে। আর হাসিনা তো ১৫ বছর ধরে ক্রমাগত চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে দেশ শাসন করছিলেন।

বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাসীন শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর যে উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে, তার সর্বশেষ নিদর্শনও হলো হাসিনার এই পতন ও পলায়ন। তবে বাংলাদেশে এখন যা ঘটছে, তাতে এখনই একে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্য একটি বিজয়ঘণ্টা হিসেবে অভিহিত করা অপরিপক্বতার শামিল হবে।