শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫
২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি   🕒
➔ English
No Result
View All Result
USBENGAL
  • হোম
  • খবর
  • প্রতিবেদন
  • আমেরিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • এশিয়া
  • আফ্রিকা
  • লাইফস্টাইল
    হাসপাতালে ভর্তি নেতানিয়াহু, যা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

    হাসপাতালে ভর্তি নেতানিয়াহু, যা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

    গরমে ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

    গরমে ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

    লিফটের ভেতরে আয়না কেন থাকে

    লিফটের ভেতরে আয়না কেন থাকে

    সিজারের পর পেটের বাড়তি চর্বি কমানোর সেরা উপায়

    সিজারের পর পেটের বাড়তি চর্বি কমানোর সেরা উপায়

    যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

    যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

    জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

    জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

    জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর তিন টিপস

    জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর তিন টিপস

    সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে চোখ সরাতে যা করবেন

    সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে চোখ সরাতে যা করবেন

    নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

    নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

  • ভিডিও
  • ➘
    • খেলা
    • বিনোদন
    • অন্যান্য
  • সাক্ষাৎকার
  • হোম
  • খবর
  • প্রতিবেদন
  • আমেরিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • এশিয়া
  • আফ্রিকা
  • লাইফস্টাইল
    হাসপাতালে ভর্তি নেতানিয়াহু, যা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

    হাসপাতালে ভর্তি নেতানিয়াহু, যা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

    গরমে ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

    গরমে ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

    লিফটের ভেতরে আয়না কেন থাকে

    লিফটের ভেতরে আয়না কেন থাকে

    সিজারের পর পেটের বাড়তি চর্বি কমানোর সেরা উপায়

    সিজারের পর পেটের বাড়তি চর্বি কমানোর সেরা উপায়

    যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

    যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

    জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

    জন্মের আগেই নির্ধারণ করা যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি

    জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর তিন টিপস

    জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর তিন টিপস

    সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে চোখ সরাতে যা করবেন

    সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে চোখ সরাতে যা করবেন

    নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

    নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

  • ভিডিও
  • ➘
    • খেলা
    • বিনোদন
    • অন্যান্য
  • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
USBENGAL
No Result
View All Result
  • হোম
  • খবর
  • প্রতিবেদন
  • আমেরিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • এশিয়া
  • আফ্রিকা
  • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
  • ➘
  • সাক্ষাৎকার

যেভাবে আফগানিস্তানে আবার তালেবান ক্ষমতায়

ইউএস বেঙ্গল ইউএস বেঙ্গল
বুধবার, ১৮ আগস্ট, ১০:৫২ অপরাহ্ণ
বিভাগ - খবর
A A
0

কাবুল দখলের পর সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র ছবি: আল জাজিরা

0
SHARES
8
VIEWS
Share on FacebookShare on WhatsAppShare on Twitter

ডেস্ক : আবারো আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। কখনো বিদেশি সেনা, কখনো তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালিয়ে আবার কখনো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনায় এসেছে তারা। তালেবান প্রথম ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। এর আগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। এবার নতুন করে আলোচনায় আসার কারণ, আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। এর আগে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে তৎকালীন সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের পর ১৯৯৪ সাল নাগাদ তালেবানের উত্থান হয়। তাদের যাত্রা শুরু দেশটির কান্দাহার প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। এই প্রদেশের যে এলাকায় পশতু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, সেখান থেকে তাদের উত্থান।

সাবেক সোভিয়েত সরকার আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ১৯৭৯ সাল নাগাদ। তখন আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ছিল কমিউনিস্ট সরকার। ক্ষমতায় থাকা দলটির নাম ছিল পিপলস রিপাবলিক পার্টি অব আফগানিস্তান। এদের সাহায্য করতেই আফগানিস্তানে এসেছিল সোভিয়েতরা। আফগানিস্তানে নিজেদের ইচ্ছা–অনিচ্ছার প্রতিফল ঘটাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তৎকালীন আফগান মুজাহিদিনদের হাতে মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বাধানী তৎকালীন সোভিয়েতপন্থী সরকারের পতন হয়।

এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও ছিল। তাদের জন্য তা ছিল ছায়াযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মুজাহিদিনদের সাহায্য করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মুজাহিদিনদের এই বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ, ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে তালেবানের উত্থান। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ‘ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে’ দেশ চালাবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তালেবানের এই প্রতিশ্রুতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এরপর কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর তারা দেশের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।

সোভিয়েত ও মুজাহিদিনদের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করে উপস্থাপন করেছে স্কাই নিউজ। তারা বলছে, এই মুজাহিদিন থেকেই তালেবানের জন্ম। আর সোভিয়েতের সঙ্গে লড়াইয়ে মুজাহিদিনদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান থেকে তালেবানের যাত্রা শুরু। এটা ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকের ঘটনা। ধারণা করা হয়, সে সময় ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিল তারা। মূলত সুন্নি মতাদর্শ প্রচার করত তালেবান। আর ওই সময় তাদের অর্থায়ন করত সৌদি আরব।

এরপর থেকে আর পাকিস্তানে সীমাবদ্ধ থাকেনি তালেবান। পশতু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, এমন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তারা। প্রতিশ্রুতি দেয়, এসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে ‘ইসলামের আইন’ অনুসারে শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে এসব এলাকায়। গত শতকের ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের ব্যাপক উত্থান হয়। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এর ঠিক এক বছর পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানের হাতে। এর মধ্য দিয়ে আফগান মুজাহিদিন সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত হন আফগান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা বোরহানুদ্দিন রব্বানি। ১৯৯৮ সাল নাগাদ আফগানিস্তানের ৯০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। মাত্র তিনটি দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। এই সংগঠন দীর্ঘদিন তাঁর নেতৃত্বে ছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। এর কিছু সময় পর নেতৃত্বে আসেন হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তালেবানের রাজনীতি, সামরিক পদক্ষেপ ও ধর্মীয় বিষয়আশয়ও তাঁর নিয়ন্ত্রণে। তালেবানের ‘বিশ্বস্ত নেতা’ হিসেবে পরিচিত তিনি।

তালেবানের নেতৃত্বের ছোট তালিকায় আছে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবের নাম। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ৩০ বছর বয়সী ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। বহুল আলোচিত মুজাহিদিন কমান্ডার জালালুদ্দিন হাক্কানির ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই নেটওয়ার্ক পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তালবানের অর্থনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ ছাড়া রয়েছেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তাঁকে তালেবানের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়।

তালেবানের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই। তালেবান সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী স্টানিকজাই প্রায় এক দশক ধরে দোহায় বাস করছেন। ২০১৫ সালে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন স্টানিকজাই। এ ছাড়া রয়েছেন আবদুল হাকিম হাক্কানি। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দলের প্রধান তিনি। তালেবানের সাবেক ছায়া প্রধান বিচারপতি হাক্কানি বর্তমানে ক্ষমতাধর ধর্মীয় কাউন্সিলের প্রধান। তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহর বিশ্বাসী সহচরদের মধ্যে তাঁকে অন্যতম বলে মনে করা হয়।

তালেবানের অর্থায়নের একটি বড় উৎস মাদক ব্যবসা। স্কাই নিউজের তথ্য অনুসারে, আফিমের ব্যবসা তাদের আয়ের একটি বড় উৎস। এ ছাড়া তালেবানের অর্থায়নের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ন্যাশনাল ওয়ার্ল্ডের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সংগঠনটির অর্থায়ন নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, সংগঠনটির যাত্রা শুরুর প্রথম দিকে তাদের অস্ত্র ও অর্থের জোগান এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছ থেকে। মূলত সোভিয়েতের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে ছায়াযুদ্ধে সংগঠনটিকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে তারা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, তালেবানকে অর্থ দেয় ইরান, রাশিয়া, সৌদি আরব ও পাকিস্তান। এ মাধ্যমে প্রতিবছর ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পায় তালেবান।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে কর আদায় করে তালেবান। এ ছাড়া দেশটির বর্ডার ক্রসিং থেকে অর্থ আদায় করে তারা। সমর্থকেরাও তাদের অর্থ দিয়ে থাকে। আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় পপি চাষ করা হয়। এগুলোও আয়ের অন্যতম উৎস।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর যে জঙ্গি সংগঠনের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছিল, সেটি হলো আল-কায়েদা। এই সংগঠনের নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং তাঁর সংগঠনের সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছিল তৎকালীন তালেবান সরকার। সেই অভিযোগেই ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর তালেবান ও আল-কায়েদার স্থাপনা লক্ষ্য করে কাবুল, কান্দাহার ও জালালাবাদে প্রথম বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এরপর ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর তালেবান সরকারের পতন হয়।

কিন্তু এই পতনই শেষ নয়। কারণ, সে সময় তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনসহ বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। তাঁদের অনেকেই পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা সংগঠন পরিচালনা করতেন। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বারবার।

কিছু তথ্য–উপাত্তের নিরিখে অবশ্য বলা যায়, তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব পাকিস্তানেই ছিল। এর প্রমাণ মেলে ২০১৫ সালে। ওই বছর তালেবান স্বীকার করে, মোল্লা ওমর মারা গেছেন। প্রায় দুই বছর পাকিস্তানের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি মারা যান। মোল্লা ওমরের পর তালেবানের নেতা হন মোল্লা মনসুর। ২০১৬ সালে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় তাঁকে হত্যা করা হয়। এরপর নেতা হন হাইবাতুল্লাহ।

ন্যাশনাল ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, তালবোন ও আল-কায়েদার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও তাদের যোগসূত্র ছিল। ফলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে আল-কায়েদা ঠেকানোর জন্য এই সংগঠন কাজ করবে, তখন অনেক বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এই চুক্তির পরও আল-কায়েদাকে সাহায্য করতে পারে তালেবান।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর নতুন আইনব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিল তালেবান। তারা আফগানিস্তানকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল, ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইসলামি আইনে। বিবিসি বলছে, ক্ষমতায় যাওয়ার পর শরিয়াহ আইনের একটি কঠোর সংস্করণ বাস্তবায়নের পথে হেঁটেছিল তারা। সেসবের মধ্যে অন্যতম ছিল, হত্যাকারীর শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়া চুরির অপরাধ হিসেবে অঙ্গচ্ছেদের বিষয়টি কার্যকর করেছিল তারা। তখন তালেবানের আইনে বলা হয়েছিল, পুরুষ হলে দাড়ি রাখতে হবে এবং নারীদের বাধ্যতামূলক বোরকা পরতে হবে।

তালেবানের সেই আমলে আফগানিস্তানে টেলিভিশন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ছাড়া সংগীত ও চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করা হয়। ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েশিশুদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তালেবান। নিউইয়র্ক টাইমসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটাও ঘোষণা দিয়েছিল, দেশটিতে অন্য ধর্মের চর্চা মেনে নেওয়া হবে না। সেই ঘোষণার পর ২০০১ সালে ৮০০ বছরের পুরোনো বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ভেঙে ফেলেছিল তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবানের সরকারব্যবস্থা আধুনিক ছিল। কিন্তু তাদের অনুশাসন ছিল গোড়া। শুধু পড়াশোনা নয়, নারীদের বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা। সে সময় এমন আইনের প্রচলন ছিল যে কোনো নারী মুখ না ঢাকা অবস্থায় বাইরে বের হলে তাকে সাজা পেতে হবে। অবিবাহিত নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে দেখা গেলে তাদের সাজা হবে।

তালেবানের এই মনোভাব যে এখনো বদলায়নি, তা স্পষ্ট। গত জুলাইয়ে কান্দাহারের একটি উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান আদেশ দেয়, সেখানে কর্মরত ৯ নারী ছুটিতে থাকবেন। আর তাঁদের জায়গায় কাজ করবেন ওই নারীদের পুরুষ আত্মীয়। এরপর কুন্দুজ প্রদেশেও একই ঘটনা ঘটে। কুন্দুজ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কর্মরত নারীদের ছুটি দেওয়া হয় এবং কর্মক্ষেত্রে আর না ফেরার কথাও বলে দেওয়া হয়

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তালেবানের আগে প্রাথমিকভাবে মুজাহিদিনরা ক্ষমতায় আসার পর অনেক ক্ষেত্রেই বাড়াবাড়ি করছিল। এ ছাড়া অন্তর্কোন্দল তো ছিলই। এরপর ক্ষমতায় এসে সাময়িকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল তালেবান। কারণ, তারা অবকাঠামো নির্মাণে হাত দিয়েছিল। এ ছাড়া দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করারও ঘোষণা দিয়েছিল তারা। কিন্তু এর বিপরীতে সন্ত্রাসবাদের আবাসভূমি হয়ে ওঠে আফগানিস্তান।

সে সময় আল-কায়েদা আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল। ৯/১১-এর সেই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন। টুইন টাওয়ারে হামলার পর তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তালেবান সরকার। তৎকালীন মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, তারা এই সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটন করবে। ফলে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল তারা। আর এই হামলার পর তালেবান ক্ষমতার মসনদ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর তালেবান সরকারের পতন হয়।

তালেবান শক্তি সঞ্চয় করে আবারও কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সম্প্রতি। গত রোববার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। ওই দিনই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। একটি অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন।

এখন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে তালেবান। সরকারের কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের কাজে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সরকার গঠন করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও একসময় দেশটির শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে কাবুলে আলোচনা করেছেন তালেবান নেতা আমির খান মুত্তাকি। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনও করেছে তালেবান। এতে আগাম সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তালেবান তার পুরোনো আদর্শ থেকে বেরিয়ে আসে কি না, কাজ-কর্মেই তার প্রমাণ মিলবে।

Tags: International
প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

আফগানিস্তানে আবার ক্ষমতা দখল করার পথে তালেবান

Next Post

এবার কাইলি নামের আরও কম মানুষ জড়ো হলো

আরো খবর

মরক্কোতে ঈদুল আজহায় কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা, জনমনে  ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
খবর

মরক্কোতে ঈদুল আজহায় কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা, জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

কানাডাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল, লোকজনকে সরাতে সেনা মোতায়েন
খবর

কানাডাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল, লোকজনকে সরাতে সেনা মোতায়েন

৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ
খবর

৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ

Next Post
এবার কাইলি নামের আরও কম মানুষ জড়ো হলো

এবার কাইলি নামের আরও কম মানুষ জড়ো হলো

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা

বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা

পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ

পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ

মরক্কোতে ঈদুল আজহায় কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা, জনমনে  ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

মরক্কোতে ঈদুল আজহায় কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা, জনমনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট

বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের, প্রতিশোধমূলক বলছে হার্ভার্ড

বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের, প্রতিশোধমূলক বলছে হার্ভার্ড

❑ আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১২৩৪৫৬৭
৮৯১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
  • আমেরিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • এশিয়া
  • আফ্রিকা
  • খবর
  • প্রতিবেদন
  • ভিডিও
  • লাইফস্টাইল
  • সাক্ষাৎকার
Chief Editor ~ Harunur Rashid
USBENGAL MULTIMEDIA INC
294 GRANADA BLVD FORT MYERS, FL 33905
 USA  +1 (929) 679-9116

Copyright © 2024 USBENGAL All right reserved. Developed USBENGAL IT TEAM. Support by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • হোম
  • খবর
  • প্রতিবেদন
  • আমেরিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • এশিয়া
  • আফ্রিকা
  • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
  • ➘
    • খেলা
    • বিনোদন
    • অন্যান্য
  • সাক্ষাৎকার

Copyright © 2024 USBENGAL All right reserved. Developed USBENGAL IT TEAM. Support by WEBSBD.NET